Kolkata

ভিক্ষা নয়, প্রাপ্য টাকা চাওয়া হচ্ছে, কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যসরকার ভিক্ষা চাইছে না। রাজ্যসরকার তার প্রাপ্য টাকা কেন্দ্রের কাছে চাইছে। কিন্তু কেন্দ্র তা দিচ্ছেনা। অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর।

কলকাতা : কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য থেকে যাবতীয় করের টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যে বিক্রিত জিনিসপত্রের ওপর যে জিএসটি আদায় হচ্ছে তাও নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেই করের একটি অংশ রাজ্য সরকারের প্রাপ্য হয়। তা কেন্দ্র রাজ্যকে দিয়ে দেয়। কেন্দ্র এখান থেকে করের টাকা তুলে নিয়ে গেলেও কয়েক মাস হয়ে গেল রাজ্যের অংশের টাকা রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দিচ্ছেনা। ফলে বিপুল অর্থ সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বুধবার নবান্নে এভাবেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, রাজ্যের প্রাপ্য করের অংশ কোনও ভিক্ষা নয়। তা তাদের প্রাপ্য টাকা। তাই কেন্দ্রের কাছে এই অর্থ বারবার চাওয়া ভিক্ষা চাওয়া নয়, প্রাপ্য টাকা চাওয়া। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে সরকারের এমনিতেই আয় কমেছে। তার ওপর করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিপুল অর্থ ব্যয় হচ্ছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও কেন্দ্র তাদের বকেয়া টাকা মেটাচ্ছে না।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি বিভিন্ন বৈঠকে দেখেছেন এই সমস্যা কেবল পশ্চিমবঙ্গের নয়। অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই দাবি করছেন এই প্রাপ্য টাকার। তাঁদেরও বকেয়া পড়ে আছে। কেন্দ্র টাকা মেটাচ্ছে না। যা ক্রমশ, সমস্যা তৈরি করছে। অর্থের সমস্যা হচ্ছে বলে এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগের সুরেই জানান কেন্দ্রেও নির্বাচিত সরকার রয়েছে। রাজ্যেও নির্বাচিত সরকারই আছে। তবু রাজ্যসরকারকে টাকা মেটানো হচ্ছেনা।

রাজ্যে সরকারের অর্থ ভাণ্ডারের পরিস্থিতি যে বড় একটা ভাল অবস্থায় নেই তা আগের দিনই স্পষ্ট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ৫টি জেলার সঙ্গে ভার্চুয়াল প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী করোনার কারণে উন্নয়নের কাজ ফেলে না রাখার নির্দেশ দিয়ে জানান করোনার কারণে রাজ্যসরকারের আয় কমেছে। কিন্তু ব্যয় অব্যাহত। কেন্দ্র কোনও রাজ্যকেই তার প্রাপ্য টাকা দিচ্ছেনা। ফলে সমস্যা হচ্ছে। তার মধ্যেও রাজ্যে উন্নয়ন থেমে থাকলে চলবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি প্রাপ্য টাকা চেয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *