National

পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তৃতীয় মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত লালুপ্রসাদ যাদব, ৫ বছরের জেল

গত শতাব্দীর অন্তিম দশকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছিল লালুপ্রসাদ যাদবের। বরাদ্দের চেয়ে বেশি অর্থ ট্রেজারি থেকে তোলার অভিযোগে মাথায় নাম ছিল লালুপ্রসাদের। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি নিয়ে ৬৯ বছর বয়সী বিহার রাজনীতির এই কিংবদন্তির বিরুদ্ধে মোট ৫টি মামলা রয়েছে। তারমধ্যে ২টিতে ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন লালু। এবার তৃতীয় মামলাতেও রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত দোষী সাব্যস্ত করল তাঁকে। মূল ষড়যন্ত্রী হিসাবে লালুপ্রসাদের সঙ্গে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রকেও দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। বুধবার সকালে ২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করার পর দুপুরে সাজা শোনায় আদালত। লালুপ্রসাদ যাদবকে এই মামলায় ৫ বছরের জেল ও ১০ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেইসঙ্গে জগন্নাথ মিশ্রকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাজা ঘোষণার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন আরজেডি নেতা কর্মীরা। এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন আরজেডি নেতৃত্ব।


১৯৯২-৯৩ সালে চাইবাসা ট্রেজারি থেকে পশুখাদ্য ক্রয় বাবদ যে অর্থবরাদ্দ সরকার করেছিল, তার অঙ্ক ছিল বাৎসরিক ৭ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। কিন্তু অভিযোগ ছিল লালুপ্রসাদ প্রভাব খাটিয়ে সেখান থেকে ৩৩.১৩ কোটি টাকা টাকা তুলে নেন। সিবিআই এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে লালুপ্রসাদের নাম রেখেছিল। সেই মামলায় এদিন দোষী সাব্যস্ত হলেন তিনি। আগের মামলায় সাড়ে ৩ বছরের সাজা হয়েছে তাঁর। রাঁচির বিরসা মুন্ডা সংশোধনাগারে সেই সাজা কাটছেন তিনি। জামিনের জন্য আবেদনও জানিয়েছেন লালুপ্রসাদ যাদব। তার শুনানি এখনও চলছে।



Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button