Kolkata

রাতারাতি স্কুলের গেটে বসে গেল সিসিটিভি, অভিভাবকদের মিছিল আজও, পাশে স্কটিশ

জিডি বিড়লা স্কুলে ৪ বছরের এক শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে স্কুলের ২ পিটি শিক্ষক। অভিভাবকরা গত শুক্রবার দিনভর স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পাশাপাশি প্রিন্সিপালেরও গ্রেফতারির দাবিতে সোচ্চার হন তাঁরা। রাতের দিকে বিক্ষোভ থামলেও শনিবার সকাল থেকেই স্কুলের সামনে ফের ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা ভিড় জমান। অভিযুক্তরা গ্রেফতার হলেও প্রিন্সিপালের গাফিলতির অভিযোগ তুলে তাঁর গ্রেফতারির দাবি সরব হন তাঁরা। অভিভাবকদের অভিযোগ ৩ বছর আগেও এই স্কুলে এমন একটি ঘটনা ঘটে। তখন স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলে সিসিটিভি বসানোর নিশ্চয়তা দিলেও গত ৩ বছরে তা বসিয়ে উঠতে পারেনি তারা।


অভিভাবকদের অভিযোগ কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা নেওয়া হচ্ছে পড়ানোর জন্য। কিন্তু সিসিটিভি বসানোর খরচও করছে না স্কুল। এদিকে ৩ বছরেও স্কুলে সিসিটিভি না বসলেও গত শুক্রবারের বিক্ষোভের পর রাতারাতি স্কুলের সামনে ৩টি সিসিটিভি বসানো হয়েছে। যা এদিন অভিভাবকদের নজরে পড়লে তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, এতদিন স্কুলে সিসিটিভি না বসালেও অভিভাবকদের গতিবিধির ওপর নজরদারির জন্য স্কুলের বাইরে রাতারাতি সিসিটিভি বসাতে পারল স্কুল কর্তৃপক্ষ। এদিন দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, গার্জেন ফোরামকে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসা, প্রিন্সিপালের গ্রেফতারি সহ বিভিন্ন দাবিতে অভিভাবকরা রানিকুঠিতে একটি মিছিল করেন। তাঁদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। মুখে ছিল স্লোগান। এদিন জিডি বিড়লা স্কুলের অভিভাবকদের পাশে দাঁড়িয়েছে স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের অভিভাবক ফোরাম। তাঁরাও এদিন জিডি বিড়লা স্কুলের অভিভাবকদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হন।

এদিন স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের অভিভাবকরা পাশে দাঁড়িয়েছেন। আগামী দিনে শহরের অন্যান্য স্কুলের অভিভাবকদেরও পাশে পাবেন বলেই আসা জিডি বিড়লা স্কুলের অভিভাবকদের। এদিন সকালে স্কুলে আসেন নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবাও। জানান, সারারাত যন্ত্রণায় তাঁর সন্তান ঘুমোতে পারেনি। এদিকে স্কুলের তরফে তদন্তে সবরকম সাহায্য করা হবে বলেই জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রতিনিধিদলকেও এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেন তাঁরা।



Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button