Kolkata

মুখ্যমন্ত্রীর হাতে অ্যাপোলো সংক্রান্ত রিপোর্ট

ডানকুনির যুবক সঞ্জয় রায়ের মৃত্যু ঘিরে অ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠা চিকিৎসায় গাফিলতি ও বিল বাড়ানোর অভিযোগ নিয়ে ৬ সদস্যের কমিটির তদন্ত রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা পড়ল শুক্রবার। সূত্রের খবর, রিপোর্টে অ্যাপোলোর তরফে অনেকগুলি গুরুতর গাফিলতির অভিযোগ রয়েছে। গাফিলতির তালিকায় নাম রয়েছে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক, বিলিং স্টাফ, অ্যাকাউন্টস স্টাফ ও বীমা সংস্থার। দুর্ঘটনায় আহত সঞ্জয় রায়ের লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছিল না। সেই রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে অ্যাপোলোর তরফে খরচ সাপেক্ষ অ্যাঞ্জিও অ্যাম্বোলাইজেশন করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। কিন্তু তদন্ত কমিটির রিপোর্টে তেমন কিছু করা হয়নি বলেই উল্লেখ। এছাড়া বার চারেক মেজর অ্যানাস্থেসিয়ার জন্য অ্যাপোলো টাকা চার্জ করলেও কমিটি দেখেছে সঞ্জয়বাবুকে একবারই অ্যানাস্থেসিয়া করা হয়। একাধিকবার অপারেশনেও করা হয়নি। করা হয়েছিল একবারই। কিন্তু বিলে সবই একাধিকবার দেখানো হয়েছে। এভাবে বিল বাড়ানোর অভিযোগ যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে চিকিৎসকদের তরফে গুরুতর গাফিলতির অভিযোগ। এদিন রিপোর্টটি দুপুরে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে এসে পৌঁছয়। তারপরই মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিবদের নিয়ে উচ্চপ‌র্যায়ের বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। যা পরিস্থিতি তাতে অ্যাপোলো হাসপাতাল বড় শাস্তির মুখে পড়তে চলেছে বলেই মনে করছেন অনেকে। এদিকে এদিনের রিপোর্টের কথা শুনে অ্যাপোলোকে চোর ও ব্ল্যাকমেলার বলে অভিহিত করেছেন মৃত সঞ্জয় রায়ে স্ত্রী রুবি রায়। চিকিৎসার নামে অ্যাপোলো ব্যবসা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। অন্যদিকে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগের তদন্তে এদিন অ্যাপোলোর ৪ জন চিকিৎসককে ফুলবাগান থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।


 



Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button