Kolkata

মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী

রাজ্য মন্ত্রিসভা ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। তিনি তাঁর ইস্তফাপত্র এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠিয়ে দেন।

কলকাতা : শুভেন্দু অধিকারী যে ক্রমশ দল থেকে দূরে চলে যাচ্ছেন তা আগেই নানা পদক্ষেপ থেকে বোঝা যাচ্ছিল। দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল। বিজেপির তরফেও তাঁকে প্রকাশ্যেই পদ্ম শিবিরে আহ্বান জানানো হচ্ছিল।

অন্যদিকে একটি জনসভায় সম্প্রতি শুভেন্দু জানান মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বার করে দেননি। আর তিনিও দল ছাড়েননি। কিন্তু যাবতীয় পরিস্থিতি একটা কিছু ইঙ্গিত করছিল। যা এদিন সত্যি হল। মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারী।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

চিঠি দিয়ে তিনি মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি। জানিয়ে দেন এই চিঠির একটি কপি তিনি রাজ্যপালের কাছেও পাঠিয়ে দিয়েছেন।

এদিন চিঠি পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ট্যুইট করে শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগপত্রের প্রাপ্তি স্বীকার করেন।

সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই শুভেন্দু অধিকারীর মত হেভিওয়েট নেতার এভাবে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ অবশ্যই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় ফেলেছে। একদিকে বিজেপি যেমন এখন তাঁকে দলে টানতে মরিয়া, তেমনই তৃণমূল বড় ভাঙনের মুখে। কারণ শুভেন্দু অধিকারী এবার যদি দল ছাড়েন তাহলে পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূল বড় ধাক্কা খাবে। বিধানসভা নির্বাচনের মুখে যা কখনওই তৃণমূল নেতৃত্ব চাইবে না।

এরমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। এমনও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে শুভেন্দুবাবু নাকি ডিসেম্বরের প্রথমেই বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন।

জোড়াফুল অবশ্য এখনও ছাড়েননি শুভেন্দু। ছেড়েছেন কেবল মন্ত্রিত্ব। তবে যে ভাবে এক এক করে সিঁড়ি পার হচ্ছেন তাতে এখন পড়ে আছে কেবল দল থেকে পদত্যাগ করা।

জোড়াফুল কী শুভেন্দু ছাড়বেন? ছাড়লেও তিনি কি পদ্মফুলেই যাবেন? নাকি এককভাবে লড়াই করবেন? কিছুই কিন্তু পরিস্কার নয়। তবে এই প্রশ্নগুলো ঘুরপাক খাচ্ছে।

প্রসঙ্গত এর মধ্যেই শুক্রবার কোচবিহারের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী দিল্লি গেছেন। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন তৃণমূলের সঙ্গে থাকা আর তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছেনা।

বিধানসভা নির্বাচনে এভাবে তৃণমূল শিবিরে ভাঙন কিন্তু তৃণমূলের জন্য ভাল ইঙ্গিত বহন করছে না। এভাবে ভাঙন রুখতে এবং দলের প্রতি ক্ষুব্ধদের কীভাবে বুঝিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দলেই রাখতে পারেন সেটাই এখন দেখার।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *