
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কংগ্রেসের মিছিলে পা মেলালেন সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। একদিকে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির মানা, অন্যদিকে বামফ্রন্ট শরিকদের প্রবল আপত্তির মুখে কংগ্রেসের মিছিলে পা মেলানোর সব ইচ্ছা প্রশমন করে মিছিলে হাঁটবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। সুজন চক্রবর্তী, সূর্যকান্ত মিশ্রের মত নেতাদের কংগ্রেসের সঙ্গে পা মিলিয়ে চলার প্রবল ইচ্ছা থাকলেও দল ও ফ্রন্টের চাপের মুখে অনিচ্ছা সত্ত্বেও পিছু হটতে হয়েছিল তাঁদের। ঠিক হয়েছিল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ থাকলেও এই মিছিলে অংশ নেবে না বামেরা। কিন্তু এদিন সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যকে মিছিলে হাঁটতে দেখে সাধারণ মানুষের সঙ্গে অবাক বাম নেতৃত্বও। বাম নেতাদের অনেকেই তন্ময়ের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করতে পারেননি। কাজটা ঠিক হয়নি বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে কথা বলে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী। এদিকে তন্ময় ভট্টাচার্যের কংগ্রেসের মিছিলে অংশ নেওয়াকে বাম শিবিরে ভাঙনের সূত্রপাত হিসাবেই দেখছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁদের মতে, কংগ্রেসের সঙ্গে পা মিলিয়ে চলার বিষয়টিকে সামনে রেখে কার্যতই দ্বিধাবিভক্ত বাম শিবির। এই অবস্থায় তন্ময় ভট্টাচার্যের এই পদক্ষেপে বিদ্রোহের গন্ধ পাচ্ছেন কেউ কেউ। এদিন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে পথে নামে কংগ্রেস। বিধানভবনের সামনের রামলীলা ময়দান থেকে অধীর চৌধুরী, আবদুল মান্নানদের নেতৃত্বে কংগ্রেসের মিছিল যায় ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত। জিনিসপত্রের আকাশ ছোঁয়া দামের জন্য তৃণমূলের দিকে আঙুল তোলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। এদিকে কংগ্রেসের এই মিছিলকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। এই মিছিল আসলে কংগ্রেসের অস্তিত্ব রক্ষার মরিয়া প্রচেষ্টা বলেই ব্যাখ্যা করেছে তারা।