Kolkata

হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক কেন, বিরোধীদের প্রবল কটাক্ষের মুখে মুখ্যমন্ত্রী

ঠিক যেদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন সেদিনই দিল্লি উড়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছার বিনিময়ে রিটার্ন গিফট হিসাবে তিনি কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের পালানোর পথ প্রশস্ত করতে চাইছেন। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে এভাবেই কড়া ভাষায় আক্রমণ হানলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলছেন তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক চেয়ার টু চেয়ার বৈঠক। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। কিন্তু বিরোধীরা তা মানতে নারাজ।

সিপিএম-ও কিন্তু একই কথাকে সামনে আনছে। তাদেরও দাবি রাজীব কুমারকে বাঁচাতেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তড়িঘড়ি সাক্ষাৎ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। যিনি কেন্দ্রের ডাকে সাড়া দিয়ে কোনও বৈঠকে উপস্থিত থাকেন না, তিনি আচমকা সব ফেলে ছুটলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। তাঁকে রাজ্যে আসার নিমন্ত্রণ জানিয়ে এলেন! অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র দাবি, এটা শেষ মরিয়া চেষ্টা। রাজীব কুমারকে যদি বাঁচাতে পারেন। সেজন্যই প্রধানমন্ত্রী দরবারে হাজির হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, কেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আচমকা মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে ছুটলেন তা সকলেই বুঝতে পারছেন।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এমনও শোনা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগের দিনই প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে নাকি ডাক মারফত বাংলার মিষ্টি পাঠিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন আবার হলুদ গোলাপ দিয়ে প্রথমেই প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী। তারপর শুরু হয় বৈঠক। প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর শেষবার সামনাসামনি দেখা হয়েছিল গত ২০১৮ সালের ২৫ মে। ওইদিন বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উৎসবে দুজনেই আমন্ত্রিত ছিলেন। তারপর ক্রমশ বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের তলানিতে ঠেকা সম্পর্কের জেরে ও লোকসভা ভোটের সময় মমতা-মোদী ২ মেরুতে অবস্থান করায় তাঁদের আর সাক্ষাৎ হয়নি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *