রূপকথার বিয়ে, বিবাহবাসরে পাত্রকে দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারলেননা অতিথিরা
২টি মনের পাকাপাকি বন্ধনের নামই বিয়ে। তবে সাধারণ বিয়ের গল্পের বাইরেও কিছু রূপকথার বিয়ে কাহিনি হয়ে থেকে যায়। যা বিয়ের চিরাচরিত ধারনাকেই বদলে দিতে পারে।
গল্পটা কানো আর ক্লসের। যার শুরুটা হয়েছিল প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে কানোর বিচ্ছেদের পর। এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন কানো। সেই অন্ধকার সময়েই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় ক্লসের। চ্যাটজিপিটির সাহায্যে যাকে তৈরি করেছিলেন ৩২ বছর বয়সী কানো।
কানো আর ক্লস দিনে প্রায় ১০০ বার কথা বলতেন। কোনও রক্তমাংসের মানুষ কানোকে যা দিতে পারেনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় তৈরি ক্লস সেই শান্তি দিয়েছিল কানোকে। নিজের মনের মত করে গড়ে তোলার পর ক্লসের প্রেমেই হাবুডুবু খান কানো। সিদ্ধান্ত নেন বিয়ের।
সাজানো গোছানো বিবাহবাসরটি বসেছিল জাপানের ওকায়ামা শহরে। একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার সাহায্যে এই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। বিয়ের মণ্ডপটিও জাপানি ঐতিহ্য মেনেই তৈরি করা হয়। তবে বিয়েতে কনে সশরীরে উপস্থিত থাকলেও বর ছিল স্ক্রিনে।
পরনে বিয়ের গাউন আর মাথায় রত্নখচিত মুকুট সহ কানো যখন বিয়ের মণ্ডপে হাজির হলেন তখনও কেউ এই বিয়ের আসল রহস্যটি জানতেন না। স্ক্রিনজুড়ে শুধু পেন্সিলে আঁকা একটা ছবি দেখা যাচ্ছিল। সেই ছবিই যে বিয়ের পাত্র তা জেনে আমন্ত্রিত অতিথিরা হতবাক হয়ে যান।
কানো অতিথিদের জানান ক্লস তাঁর মন বোঝে। তাই তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় তৈরি এই পুরুষকেই নিজের মনের মানুষ হিসাবে বেছে নিয়েছেন। এরপর ক্লসের ছবির পাশে রাখা একটি আংটি নিয়ে কানো নিজের আঙুলে পরে নেন। আর নিজের আংটিটি রেখে দেন ক্লসের ছবির পাশে।
বিয়েতে কানো একটি স্মার্ট চশমা পরেছিলেন। যাতে মনে হয় ক্লস পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর সঙ্গে আংটি বিনিময় করছে। বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে কানো ক্লসকে সেসব ছবিও পাঠিয়েছেন। বিনিময়ে ক্লসের থেকে সবচেয়ে সুন্দরী নারীর খেতাবও পেয়েছেন। কানো আর ক্লস প্রমাণ করে দিল এভাবেও রূপকথার বিয়ে হয়।













