রেললাইন, স্টেশন চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে নতুন উদ্যোগের দিগন্ত খুলল রেল
দেশের একটি অংশে রেল কর্তৃপক্ষ এবার রেলের চত্বরের বাইরে বেরিয়ে রেলের সঙ্গে জড়িত নয় এমন কর্মকাণ্ডে যুক্ত হল। এমনটা এই প্রথম।
রেল কর্তৃপক্ষ রেল সংক্রান্ত বিষয়ের মধ্যেই থাকে। সেটাই তাদের এক্তিয়ারভুক্ত বলে মনে করা হয়। রেলের লাইন, স্টেশন, রেলের জমি, এসবের বাইরে বার হয়েও কিছু করার কথা রেল কর্তৃপক্ষ ভাবেনি।
কিন্তু নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে এবার সেই অভিনব ভাবনার স্বাক্ষর রাখল। রেলের চেনা গণ্ডির বাইরে গিয়ে পর্যটক টানতে অভিনব উদ্যোগ নিল তারা। যা রেলের আওতায় আপাত দৃষ্টিতে পড়ার কথা নয়।
উত্তরপূর্ব ভারত জুড়ে ক্রমে রেল যোগাযোগ বাড়াচ্ছে তারা। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে একের পর এক উদ্যোগ গ্রহণ করছে। ইতিমধ্যেই ভিস্টাডোম কামরার ট্রেন পর্যটকদের টানতে ছুটছে নানা প্রান্তে।
এছাড়াও দেশি, বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষিত করতে ট্রেনে রেস্তোরাঁ, স্টেশনে বিশ্রামাগারকে আধুনিক রূপ দিচ্ছে নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে। তবে এসবই রেলের আওতায় পড়ে। যেটা পড়েনা সেখানেও এবার পর্যটক টানতে উদ্যোগী হল তারা।
উত্তরপূর্ব ভারতে পর্যটকরা ছুটে আসেন এখানকার অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে। সেই প্রকৃতি ব্রহ্মপুত্র নদের ধারে অন্যই রূপ নিয়েছে। সেই ব্রহ্মপুত্রের ধারকেই বেছে নিয়েছে নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেল।
এখান দিয়ে ট্রেন চালানো নয়, বরং এখানে একটি ট্যুরিস্ট হাব তৈরি করার পথে হাঁটছে তারা। ডিব্রুগড়ের বোগিবীল ব্রিজের ধারের একটি জায়গাকে এজন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
সেখানে ব্রহ্মপুত্র নদের ধারে সেই ট্যুরিস্ট হাবে পর্যটকদের জন্য থাকবে নৌকাবিহারের সুবিধা। থাকবে ভাসমান রেস্তোরাঁ। যা কিন্তু রেলের আওতাভুক্ত হতে চলেছে। এমন উদ্যোগ অভিনবত্বের দাবি রাখে সন্দেহ নেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা