National

স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে রেখে মদ্যপান করতে চলে গেলেন ট্রেন চালক

ট্রেন বোঝাই যাত্রী। যাত্রাপথে একটি স্টেশনে এসে থেমেছে ট্রেনটি। কিন্তু থামার পর আর ছাড়ার নাম নেই। কারণ ট্রেন দাঁড় করিয়ে ট্রেনের চালক চলে গেছেন মদ্যপান করতে।

প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিতে ভর্তি যাত্রী। সকলেই জানেন এই স্টেশনে ২ মিনিটের মত থামে ট্রেনটি। কিন্তু এক্ষেত্রে ঘড়ির কাঁটা ঘুরতেই থাকে। কিন্তু ট্রেন ছাড়ে না। অগত্যা অস্থির হয়ে পড়েন ট্রেনের যাত্রীরা।

একে একে স্টেশনে নেমে খোঁজ নিতে শুরু করেন তাঁরা। কেন ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে তা জানার চেষ্টা করেন। ট্রেনটি যে এভাবে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে সে খবর যায় স্টেশন আধিকারিকদের কাছে। তাঁরা এবার খোঁজ শুরু করেন।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

খোঁজ পড়ে ট্রেনের চালকের। কিন্তু চালকের কেবিনে গিয়ে দেখা যায় চালক কর্মবীর যাদব ওরফে মুন্না চালকের কেবিনেই নেই।

কোথায় গেলেন তিনি? তাও সঠিক করে কেউ বলতে পারছেন না। এর মধ্যেই একটি খবর এসে পৌঁছয় স্টেশন মাস্টারের কাছে।

তিনি জানতে পারেন, এক ব্যক্তি কাছের একটি বাজারে মদ্যপ অবস্থায় হইচই জুড়ে দিয়েছেন। তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি সেখানে হাজির হন। যে সন্দেহ তিনি করেছিলেন ঠিক তাই।

মদ্যপান করে বাজারে হইচই করা ব্যক্তিই ট্রেনের চালক কর্মবীর। তাঁকে সেখান থেকে ধরে আনা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের হাসানপুর স্টেশনে।

ট্রেনটি সমস্তিপুর থেকে সহর্সা যাচ্ছিল। মাঝে পড়ে হাসানপুর স্টেশন। বিকেল ৪টে ৫ মিনিটে সমস্তিপুর ছেড়ে যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি হাসানপুর পৌঁছয় পৌনে ৬টায়। সেখানে ২ মিনিট দাঁড়িয়ে ট্রেন আবার রওনা দেওয়ার কথা ছিল।

সহর্সা পৌঁছনোর কথা রাত সাড়ে ৮টায়। কিন্তু ট্রেন দাঁড় করিয়ে রেখে মদ্যপান করতে নির্বিকারে নেমে যান ট্রেন চালক কর্মবীর। তারপর স্টেশনেই ট্রেনটি ১ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে।

ঘটনায় কর্মবীরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে ওই ট্রেনেই অন্য এক ট্রেন চালক যাত্রা করছিলেন। তিনি ছুটিতে ছিলেন। কিন্তু অবস্থা সামাল দিতে তাঁকেই ওই ট্রেনকে সহর্সা পৌঁছনোর দায়িত্ব দেন রেল কর্তারা। ঘটনাটি এমন এক রাজ্যে ঘটেছে যে রাজ্যে মদ বিক্রি ও কেনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *