Sports

একজন ব্যর্থ হলে অন্যজন খেলে দেবেন, এই মন্ত্রে ফের জয়ে চেন্নাই

চেন্নাই সুপার কিংস এমন একটা দল যে দলের কে যে কবে খেলে দেবেন বোঝা দায়। কিন্তু কেউ তো খেলবেনই। আর তাঁর সেই অবদানে ভর করে চেন্নাই ম্যাচ জিতবে। আপাতত এটাই ট্রাম্প কার্ড হয়ে গেছে চেন্নাইয়ের। তারওপর বড় ভরসা অধিনায়ক ধোনি। ঠান্ডা মাথায় দলকে কীভাবে জেতাতে হয় তা তাঁর বেশ জানা।

প্রয়োজনে দল ব্যর্থ হলে একা তিনি খেলে দিচ্ছেন। আর দলটার বড় ভরসা অভিজ্ঞতা আর হোমওয়ার্ক। ফলে জয় আসছে অনায়াসে। গত মঙ্গলবারও চেন্নাই জিতল হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। এদিন জয়ের নায়ক ওয়াটসন। বুড়ো হাড়ে কেমন ভেল্কি দেখানো যায় তা এদিন দেখিয়ে দিলেন এই অজি তারকা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

টস জিতে নিজেদের মাঠে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ধোনি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বেয়ারস্টোর উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। ওয়ার্নারের সঙ্গে যুগলবন্দি করতে নামেন মণীশ পাণ্ডে। পুরো প্রতিযোগিতায় রান না পাওয়া মণীশ এদিন খেললেন রাজার মত। মাঠে তাঁর ব্যাটিং দাপট চলল চুটিয়ে। সঙ্গে ওয়ার্নারের দারুণ ব্যাটিং। ওয়ার্নার এদিন ৫৭ রান করে ফেরেন। মণীশের সঙ্গে জুটি বাঁধেন বিজয় শঙ্কর। ২৬ রান করেন তিনি। খেলার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৪৯ বলে ৮৩ রান করেন মণীশ। হায়দরাবাদ ২০ ওভারের শেষে করে ১৭৫ রান।

মোটামুটি চ্যালেঞ্জিং টোটাল। কিন্তু তাড়া করতে নেমে হায়দরাবাদের বোলিংয়ের সামনে রান তুলতেই পারছিল না চেন্নাই। ডু প্লেসি শুরুতেই ১ রান করে ফেরার পর ওয়াটসন ও রায়না জুটি বাঁধেন। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান রেট বাড়তে থাকায় একসময়ে প্রথমে হাত খোলেন রায়না। তারপর শুরু হয় ওয়াটসনের শাসন। কার্যত হায়দরাবাদের বোলারদের তুলোধোনা করতে থাকেন তিনি।

৩৮ রান করে রায়না ফেরার পর মাঠে নামেন রাইডু। তবে ওয়াটসন এদিন বোধহয় ঠিক করে নিয়েছিলেন যে তিনি একাই যা করার করবেন। করলেনও তাই। শুধু সেঞ্চুরিটা যা অধরা রয়ে গেল। ৫৩ বলে ৯৬ রান করেন তিনি। তবে যখন ফেরেন তখন দলের জিততে দরকার ১৬ রান। জয়ের জন্য ১ রান বাকি থাকতে আউট হন রাইডু। খেলা শেষ করেন কেদার যাদব। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন ওয়াটসন। ১ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে চেন্নাই।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *