Sports

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে সুপার ওভারে হারল কেকেআর

প্রথম থেকে যেভাবে ম্যাচ গড়াচ্ছিল তাতে কেকেআরের হার পরিস্কার ছিল। সেখান থেকে ম্যাচকে লড়াইয়ে ফেরায় দীনেশ কার্তিক ও আন্দ্রে রাসেলের দুরন্ত ব্যাটিং। ১৮৫ রান তাড়া করতে নেমে ১৮৫ রানই করে দিল্লি। ম্যাচ টাই হয়। যদিও টাই হওয়ার মত খেলা দিল্লি খেলছিলনা। ডাহা জেতা খেলাকে শেষের দিকে দুর্বল ব্যাটিংয়ের জন্য টাইতে গড়াতে দেখতে হয় দিল্লিকে। অন্যদিকে খেলায় ফেরার পাশাপাশি জয়ের সুযোগ হাতে আসে কেকেআরের। কিন্তু রাবাডার বোলিংয়ের সামনে কেকেআরের সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে‌ যায়। সুপার ওভারে ম্যাচ জেতে দিল্লি।

দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা ময়দানে টস জিতে প্রথমে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ব্যাট করতে পাঠায় দিল্লি ক্যাপিটালস। সুনীল নারিন আঙুলে চোট পাওয়ায় শনিবার দলে জায়গা পান নিখিল নায়েক। ওপেনিং করতে নামেন। কিন্তু এঁটে উঠতে পারছিলেন না। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল একেবারেই স্বচ্ছন্দ নন। ফলে পাওয়ার প্লে-কে কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ১৬ বল খেলে করেন ৭ রান।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

ক্রিস লিন এদিন কিছুটা রান তোলার চেষ্টা করলেও ২০ করে ফেরেন। উত্থাপ্পা ১১ রান করে, নীতীশ রাণা ১ রান করে এবং শুভমান গিল ৪ রান করে ফেরেন। মাত্র ৬১ রানের মধ্যেই কেকেআরের ৫ উইকেট পড়ে যায়। কার্যত খাদের কিনারায় এসে দাঁড়ায় কলকাতার ইনিংস। আর সেই অবস্থায় ব্যাট হাতে নামেন দলের ত্রাতা আন্দ্রে রাসেল। অন্যদিকে তখন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক।

এই ২ জনের জুটি খেলার মোড় ঘোরাতে শুরু করে। খাদের কিনারায় পৌঁছনো কেকেআরকে ফের খেলায় ফিরিয়ে আনেন এঁরা। এরপর শুরু হয় রাসেলের বিধ্বংসী ব্যাট। যে ব্যাটিং দেখার জন্য বিপক্ষ দলের সমর্থকেরাও অপেক্ষা করে থাকেন। মাত্র ২৮ বল খেলে ৬টা ছক্কা ও ৪টি চার মেরে মোট ৬২ রান করেন রাসেল। যথারীতি তৃতীয় ম্যাচেও একটানা বিধ্বংসী এই ক্যারিবিয়ান সুপার শক্তি। দীনেশ কার্তিকও এদিন ৫০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। ২০ ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান করে কেকেআর।

পাল্টা ব্যাট করতে নেমে শিখর ধাওয়ান ১৬ রান করে আউট হন। কিন্তু পৃথ্বী শ-র ব্যাট চলতে থাকে। ভারতের এই যুব প্রতিভা সঙ্গে পান অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারকে। যদিও এদিন শুরুতে গুটিয়ে ছিলেন শ্রেয়স। তবে এদিন বিধ্বংসী চেহারা নেন পৃথ্বী শ। পরে শ্রেয় আইয়ারও হাত খোলেন। রানের চাকা দ্রুত ঘুরতে থাকে। ১১ তম ওভারে কুলদীপের বলে ২০ রান তোলে দিল্লি। তারপরও পৃথ্বীর ব্যাট থামেনি। কার্যত এদিন ম্যাচ দিল্লির হাতের মুঠোয় এনে দেন পৃথ্বী।

এমনিতে কোটলার মাঠ ছোট মাঠ। ফলে এখানে বড় শট মারা সহজ। আর এদিন পৃথ্বী যেমন বিধ্বংসী মুডে ছিলেন তাতে তাঁর পক্ষে বড় শট নিতে সমস্যা হয়নি। শ্রেয়স ৪৩ রান করে আউট হলেও পন্থকে সঙ্গে করে একাই ম্যাচ জেতার লক্ষ্যে এগোতে থাকেন পৃথ্বী।

অষ্টাদশ ওভারে কুলদীপ ফেরান পন্থকে (১১)। তার ঠিক পরের বলে ৯৮ রানে থাকা পৃথ্বীর ক্যাচ ফস্কান। এটা বড় ধাক্কা হয় কেকেআরের জন্য। কিন্তু ৯৯ রানে পৃথ্বী ফের ক্যাচ তোলেন। যা ধরা পড়ে কার্তিকের হাতে। ১৭ বলে ১৭ রান থেকে ৬ বলে ৬ রান। সেই ম্যাচ টাই করে দিল্লি। দুর্বল ব্যাটিংয়ের সুযোগে কেকেআর নেহাতই হারা ম্যাচে জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করে। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

প্রথমে ব্যাট করে ১০ রান তোলে দিল্লি। ১১ রান করলে জিতবে এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই চার হাঁকান রাসেল। কিন্তু তার পরের বল থেকে যেভাবে রাবাডা ইয়র্কার করতে শুরু করেন তা তারিফের দাবি রাখে। তৃতীয় বলে বোল্ড হন রাসেল। ৩ বলে ৭ রান করতে হবে এই অবস্থায় ৩ বলে ১ রান করেই তুলতে সমর্থ হন দীনেশ ও উত্থাপ্পা। হেরে যায় কেকেআর। দুরন্ত জয় আসে দিল্লির ঝুলিতে। প্রথম থেকে হারা ম্যাচে কিছুটা প্রাণ ফেরান দীনেশ, রাসেল। কিন্তু ব্যাটিংয়েও দিল্লি এগিয়েছিল। সুপার ওভারে দুরন্ত বল করলেন রাবাডা। ম্যাচ জিতল দিল্লি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *