Sports

আইপিএলে বিরাটদের ভাগ্যের চাকা থমকেই

আইপিএলে বিরাট কোহলির ভাগ্যটা আগেও সাথ দেয়নি। এবারও দিচ্ছেনা। বৃহস্পতিবার নিজেদের মাঠে বেঙ্গালুরু হারল মুম্বইয়ের কাছে। তাও আবার মাত্র ৬ রানে। ম্যাচ একসময়ে কিন্তু বেঙ্গালুরুর দিকেই ঝুঁকে ছিল। সেই ম্যাচকে শেষ পর্যন্ত টেনে জয় ছিনিয়ে নিতে পারল না বিরাটবাহিনী। ফলে ২ ম্যাচের শেষে ২ ম্যাচই হারল বেঙ্গালুরু। অন্যদিকে এদিনের জয়ের সুবাদে পয়েন্ট তালিকায় খাতা খুলল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। অন্যদিকে বেঙ্গালুরুর আইপিএল ভাগ্য এখনও পাথর চাপা অবস্থায় রয়ে গেল।

চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার টস জিতে প্রথমে মুম্বইকে ব্যাট করতে পাঠান বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক কোহলি। মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও ডি কক মিলে শুরুটা ভাল করেন। রোহিত ৪৮ ও ডি কক ২৩ রান করেন। সূর্যকুমার যাদব ভাল ব্যাট করেন। এদিন চাহলের বলে ছক্কায় হ্যাট্রিক করেন যুবরাজ সিং।

সকলে যখন ভাবছেন যুবরাজের পুরনো রেকর্ড ফের তিনি ছুঁতে চলেছেন। ঠিক তখনই চতুর্থ বলেও ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ফেরেন যুবি (২৩)। পরে পোলার্ড ও ক্রুণাল পাণ্ডিয়া তেমন কিছু করতে না পারলেও রানের ঝড় তোলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। এদিন কার্যত হার্দিকের বিধ্বংসী ইনিংসের জোরেই ১৮৭ রানের বড় স্কোর খাড়া করতে সমর্থ হয় মুম্বই। ১৪ বলে ৩২ রান করেন হার্দিক।

১৮৮ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে দ্রুত মইন আলির উইকেট হারায় বেঙ্গালুরু। কিন্তু বিরাট ও পার্থিব প্যাটেল মিলে রান তুলতে থাকেন। পার্থিব ৩১ রানে ফেরার পর নামেন ডেভিলিয়ার্স। নামার পরই স্লিপে ক্যাচ তোলেন তিনি। সহজ ক্যাচ ধরতে অপারগ হন যুবরাজ। ডেভিলিয়ার্স জীবন ফিরে পাওয়া মানে যে কপালে দুঃখ আছে তা পরে বুঝতেও পারে মুম্বই। ডেভিলিয়ার্স ও বিরাট মিলে রানের গতি বাড়ান।

বিরাট ৪৬ রানে ফেরার পর ডেভিলিয়ার্সকে নন স্ট্রাইকিং এন্ডে দাঁড়িয়ে থেকে কেউ সাহায্য করতে পারেননি। হেটমায়ার, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম দ্রুত ফেরেন। দুবে শেষে নামলেও ৭০ রান করা ডেভিলিয়ার্স ম্যাচ বেঙ্গালুরুকে উপহার দিতে পারেননি। বেঙ্গালুরু হারে ৬ রানে। কোহলি সহ ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে ম্যাচের সেরা হন যশপ্রীত বুমরাহ।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *