অপারেশন সিঁদুর, মাঝরাতে পাকিস্তানের ৯টি জায়গায় জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারত
পহেলগাম হামলার যোগ্য জবাব দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৫ দিন পর সেটাই হল। পাকিস্তানে ৯টি জায়গায় জঙ্গি ঘাঁটিকে নিশানা করল ভারত।

পহেলগামে ভারতীয় নারীদের সিঁদুর মুছে দেওয়া এক জঘন্য জঙ্গি হামলার জবাব দিল ভারত। নাম দিল অপারেশন সিঁদুর। পাকিস্তানের মাটিতে থাকা একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র।
পাকিস্তানের মাটিতে দিব্যি ঘাঁটি চালাচ্ছিল একাধিক জঙ্গি সংগঠন। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৪টি জায়গায় এবং পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের ৫টি জায়গায় জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত।
রাত ১টা ৪৪ মিনিটে এই প্রত্যাঘাত হয়। এই হামলায় কোনও পাক নাগরিক বা পাক সেনা ছাউনির কোনও ক্ষতি হয়নি বলেও ভারতের তরফে স্পষ্ট করা হয়েছে। ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে কেবল জঙ্গি ঘাঁটি। তবে কোন ৯টি জায়গায় হানা হয়েছে তা ভারতের তরফে জানানো হয়নি।
পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়েছে কোটলি, মুরিদকে, বাহাওয়ালপুর, চক আমরু, ভিমবার, গুলপুর, শিয়ালকোট এবং আরও ২টি জায়গায় এই হানার ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এই হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।
যেখানে হামলা হয়েছে তারমধ্যে মুরিদকে-তে রয়েছে জঙ্গি সংগঠন ‘লস্কর-ই-তৈবা’-র প্রধান কার্যালয়। অন্যদিকে ‘জইশ-ই-মহম্মদ’ নামে আরেক জঙ্গি সংগঠনের কাজকর্ম পরিচালন হয় বাহাওয়ালপুর থেকে। ফলে বেছে বেছে জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। যারা পহেলগামের মত ঘটনা ঘটিয়েছে।
যারা পহেলগামে বেড়াতে আসা পর্যটকদের ওপর গুলি চালায়, ২৬ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়, সেই জঙ্গি হানায় যে পাকিস্তানের মদত রয়েছে তা আগেই জানিয়েছিল ভারত। তারপর তার যোগ্য জবাব দেওয়ার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মধ্যরাতে পাকিস্তানের মাটি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া ভারতীয় সেনার এই প্রত্যাঘাতের হালহকিকত দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন দেশকে অপারেশন সিঁদুর সম্বন্ধে অবহিত করেছে ভারত। ভারত যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বা আপোষহীন অবস্থানে বিশ্বাসী তাও পরিস্কার করে দেওয়া হয়েছে।
এদিন অপারেশন সিঁদুর-এর পর পুঞ্চ রাজৌরি এলাকায় ভারত পাক সীমান্তে ভারতের দিকে পাক সেনার তরফে বিনা প্ররোচনায় গুলিবর্ষণ করা হয়। যার পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা