Sports

ছেলেখেলা করে বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে ভারত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল হলেও খেলা দেখে তা মনে হলনা। গ্রুপ লিগে যেভাবে দুর্বল দলের বিরুদ্ধে সহজ জয় পায় শক্তিশালী দলগুলি, ঠিক তেমন ভাবেই বাংলাদেশকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত। এদিন টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান বিরাট কোহলি। শুরুতেই সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমানের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু সেখান থেকে বাংলাদেশকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহমান। এই দুই ব্যাটসম্যানের কাঁধে ভর করে ১৫৪ রানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। মার খান রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও হার্দিক পাণ্ডিয়া। কিন্তু কেদার যাদবের বলে বোল্ড হয়ে তামিম ইকবাল প্যাভিলিয়নে ফেরার পর থেকেই তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়তে থাকে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। বরং শেষের দিকে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা ও তাকসিন আহমেদ দলের রান ২৬৪ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান।

২৬৫ রান করলে জিতবে এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমেই নিজ মূর্তি ধারণ করেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। দুজনের ব্যাটই শুরু থেকে রান মেশিনের রূপ নেয়। দলের ৮৭ রানের মাথায় ধাওয়ান মোর্তজার বলে প্যাভিলিয়নে ফেরার পর হাল ধরেন বিরাট ও রোহিত। এই জুটিতে আর দাঁত বসাতে পারেনি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বোলিংকে দুরমুশ করে রোহিতের দুরন্ত শতরান আর বিরাটের শতরানের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়া ম্যাচের ফলাফল পরিস্কার করে দেয়। জয়ের রান উঠে যাওয়ায় বিরাটের শতরান এদিন অধরাই থেকেছে। তবে একটা রেকর্ড গড়ে দিয়েছেন তিনি। একদিনের ক্রিকেটে দ্রুততম ৮ হাজার রান করার রেকর্ড এদিন গড়ে দিলেন বিরাট। আগে এই রেকর্ড ছিল এ বি ডেভিলিয়ার্সের। ৪০.১ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৬৫ রান তুলে নেয় ভারত। পৌঁছে যায় ফাইনালে। ম্যাচের সেরা হয়েছেন রোহিত শর্মা।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

আগামী ১৮ জুন রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি পাকিস্তান। গ্রুপ লিগে পাকিস্তানকে সহজেই হারিয়েছিল ভারত। ফাইনালেই সেই ধারা বজায় রেখে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিজেদের দখলেই রাখতে পারে কিনা সেদিকেই চেয়ে সকলে। ফাইনালের পাশাপাশি ভারত-পাক লড়াই মানেই স্নায়ুযুদ্ধ। সম্মানের লড়াই। চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই যুযুধানের লড়াই দেখার জন্য আপাতত মুখিয়ে দুই দেশের মানুষ।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *