World

মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সঈদের ১০ বছরের কারাদণ্ড

মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ মহম্মদ সঈদের ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল পাক আদালত। তার সঙ্গে তার ২ সঙ্গীকেও একই সাজা প্রদান করা হয়েছে।

লাহোর : গ্লোবাল টেররিস্ট বা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসাবে তার নাম উঠেছে তালিকায়। তাকে এই তকমা দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন মুলুক তার মাথার দাম ১০ মিলিয়ন ডলার ধার্য করেছে। সেই হাফিজ সঈদকে গ্রেফতার করার জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছিল গোটা বিশ্ব।

কার্যত চাপের মুখেই পাকিস্তানে বহাল তবিয়তে থাকা হাফিজ সঈদকে গত বছর জুলাই মাসে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে অর্থ প্রদান করে সাহায্যের অভিযোগ ওঠে। লাহোরে অ্যান্টি-টেররিজম আদালতে তার বিচার শুরু হয়। একটি মামলায় আগেই হাফিজ ১ বছরের কারাবাসের সাজা পেয়েছে। এবার অন্য একটি মামলার সাজা ঘোষণা হল।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

২০০৮ সালে মুম্বই শহরে ১০ জন সন্ত্রাসবাদী লুকিয়ে প্রবেশ করে হত্যালীলা চালায়। সেই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিল এই হাফিজ সঈদ। লস্কর-ই-তৈবা নামে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের শাখা সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া। এই জামাতের মাথা হাফিজ সঈদ।

ভারত বারবার তাকে গ্রেফতার করার জন্য পাকিস্তানকে অনুরোধ জানিয়ে এসেছে। নানা তথ্য প্রমাণ তুলে দিয়েছে পাকিস্তানের হাতে। কিন্তু পাকিস্তানে নিশ্চিন্তে বসে থাকা হাফিজকে গ্রেফতার করা নিয়ে গা দেখায়নি পাকিস্তান।

অবশেষে গোটা বিশ্ব থেকে হাফিজকে গ্রেফতারির জন্য চাপ আসার পর আর সেই চাপ নিতে পারেনি পাক সরকার। হাফিজকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রথম মামলায় ১১ বছরের কারাবাসের পর এবার অন্য মামলায় ১০ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। হাফিজের সঙ্গে তার ২ সাগরেদ জাফর ইকবাল এবং ইয়াহিয়া মুজাহিদ-এর একই সাজা হয়েছে। হাফিজের শ্যালক আবদুল রেহমান মাক্কি-র অবশ্য মাত্র ৬ মাসের সাজা হয়েছে।

প্রসঙ্গত হাফিজ সহ জামাত-উদ-দাওয়া নামে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের অনেক শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা পাকিস্তানের বিভিন্ন আদালতে ঝুলে রয়েছে। ভারত বারবার বলেও কাজ না হলেও এবার বিশ্বের চাপের মুখে পাকিস্তান হাফিজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করে দিল। যা সন্ত্রাসবাদ দমনের জন্য প্রয়োজনীয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *