World

৯৭ বছরের বৃদ্ধার বিচার হল অপ্রাপ্তবয়স্কদের আদালতে

এক ৯৭ বছরের বৃদ্ধার বিচার প্রক্রিয়া আইন মেনেই হল অপ্রাপ্তবয়স্কদের আদালতে। হত্যার অভিযোগে তাঁর বিচার হল। শাস্তির মুখেও পড়তে হল বৃদ্ধাকে।

থমকে যাওয়ার মত ঘটনা হলেও এটাই সত্যি। এক ৯৭ বছর বয়স্ক বৃদ্ধার বিচার পর্ব অনুষ্ঠিত হল অপ্রাপ্তবয়স্কদের আদালতে। যাকে বলা হয় জুভেনাইল আদালত।

সেই জুভেনাইল আইন মেনেই তাঁর বিচার ও শাস্তিও হল। শুনে অবাক করা মনে হলেও এটাই সত্যি। ৯৭ বছর বয়সে বৃদ্ধার বিচার হল জুভেনাইল আদালতে।

কেন জুভেনাইল আদালত? এটা জানতে পিছিয়ে যেতে হবে ১৯৪০-এর দশকে। তখন হিটলারের প্রাণঘাতী কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প ইহুদিদের শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বইয়ে দিচ্ছে।

সেসময় হিটলার অধিকৃত পোল্যান্ডের একটি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে স্টেনোগ্রাফার হিসাবে কর্মরত ছিলেন কিশোরী ইরমগার্ড ফার্চনার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি সে সময় ওই কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে ১০ হাজার ৫০৫ জন মানুষের হত্যায় যুক্ত ছিলেন।

১৯৪৩ সাল থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে এই হত্যালীলা চলে। সেই অভিযোগের বিচার শুরু হয় জার্মানির ইৎজেহো শহরের একটি জুভেনাইল আদালতে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেই মামলা শুরু হয়।

তাঁর বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়েছে জানতে পেরে নিজের অবসরকালীন বাড়ি থেকে পালিয়েও যান ফার্চনার। পরে তাঁকে হামবুর্গ শহরের রাস্তা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

যেহেতু অভিযোগ যে সময়ের সে সময় ফার্চনারের বয়স ২১ বছরের কম ছিল তাই এই মামলা জুভেনাইল আদালতে যায়। সেখানে বিচার পর্ব চলে।

২ বছরের জেল হেফাজতের শাস্তিও নির্ধারিত হয়েছে তাঁর জন্য। অন্যদিকে বিচারপর্বে ফার্চনার জানান সে সময় কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের গ্যাস চেম্বারে যে হত্যালীলা চলেছিল তার জন্য তিনি অনুতপ্ত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *