National

শুক্রতালে কালো হয়ে গেল গঙ্গার জল

এখানে গঙ্গায় ডুব দেওয়াকে পুণ্যস্নান হিসাবেই দেখেন সকলে। সেখানে গঙ্গার জল হঠাৎ হয়ে গেল কালো। যা দেখে ক্ষুব্ধ হলেন সাধুরা।

সে প্রায় ৫ হাজার বছর আগের কথা। সে সময় মহারাজা পরীক্ষিতকে ভগবৎ পুরাণের সারমর্ম বুঝিয়েছিলেন শুকদেব গোস্বামী। সেই থেকে এই স্থান এক পবিত্র স্থান।

উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগর থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে এই স্থানে প্রতিবছর বহু পুণ্যার্থী ছুটে আসেন। গঙ্গায় পুণ্যস্নান করেন। গঙ্গার ধারে বসেই শুকদেব গোস্বামী মহারাজা পরীক্ষিতকে ভগবৎ পুরাণ বর্ণনা করেন।

তাই এই স্থানে গঙ্গাস্নানকে পুণ্যার্জন বলেই মনে করেন ভক্তরা। যা শুক্রতাল নামে প্রসিদ্ধ হয়। সেখানেই আচমকা দেখা যায় গঙ্গার জল কালো হয়ে গেছে। যা দেখে স্থানীয় সাধুরা প্রবল ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা প্রতিবাদ জানাতে গঙ্গায় এক বুক জলে দাঁড়িয়ে পড়েন।

সাধুদের ক্রোধ দেখে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। দ্রুত প্রশাসনের তরফে শুক্রতালে পৌঁছে গঙ্গার জল সংগ্রহ করা হয় পরীক্ষার জন্য। জল পরীক্ষার পর জানা যায় যে উত্তরাখণ্ডের লকসর শহরের কয়েকটি কারখানার বর্জ্য সরাসরি মিশছে গঙ্গার জলে।

ফলে গঙ্গার জল কলুষিত হচ্ছে। সেই কারণেই গঙ্গার জলে এই কালো ভাব দেখা গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত প্রতিবছর কার্তিক মাসের পূর্ণিমায় শুক্রতালে ভক্তদের প্রবল ভিড় জমে। এখানে তাঁরা হাজির হন গঙ্গায় পুণ্যস্নান করতে। এছাড়া সারা বছরই ভক্তদের আনাগোনা লেগে থাকে এখানে। এখানে শুকদেব মন্দিরও রয়েছে। যেখানে শুকদেব গোস্বামী ও মহারাজা পরীক্ষিতের মূর্তি রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *