এখানে সঠিক সময়ে ঘুম থেকে না উঠলে নদীতে বা সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয় ঘুমন্ত ব্যক্তিকে
ঘুমেরও একটা সীমা আছে। এখানে বছরে ১ দিন সঠিক সময়ে ঘুম থেকে না উঠলে ঘুমন্ত ব্যক্তিকে ফেলে দেওয়া হয় নদী বা সমুদ্রে। গায়ে জলও ঢেলে দেওয়া হয়।
ঘুম শরীরের এক অতি স্বাভাবিক অভ্যাস। আবার প্রয়োজনও। ভাল ঘুম না হলে কাজে তার প্রভাব পড়ে। আবার যাঁরা অতিরিক্ত ঘুমোন তাঁদের ঘুমকাতুরে বলা হয়। এটা আলস্যেরও উদাহরণ। আবার অনেকের ঘুমই আসেনা। অনেকে এমন আছেন যাঁদের ঘুমের ওষুধ খেলেও ঘুম আসেনা। এর কোনওটাই ঠিক নয়। সঠিক পরিমাণে প্রাত্যহিক ঘুম শরীরকে সবচেয়ে সুস্থ ও সতেজ রাখে। আর সেটাই এই রীতির হয়তো আদত প্রচেষ্টা।
পৃথিবীর এক দেশে ঘুম নিয়ে এক অদ্ভুত রীতি রয়েছে। ওই দেশটিতে বছরের একটি নির্দিষ্ট দিনকে ‘ন্যাশনাল স্লিপি হেড ডে’ হিসাবে পালন করা হয়। যা সে দেশের এক অন্যতম উৎসবের দিনও। ওইদিন সকলের ছুটি থাকে। এটি একটি মজাদার উদযাপন।
ফিনল্যান্ডে ২৭ জুলাই দিনটিকে ‘স্লিপি হেড ডে’ হিসাবে পালন করা হয়। বিশ্বাস করা হয় এই দিনে যে ব্যক্তি দেরি করে ওঠেন তিনি বছরের বাকি সময় আলস্যে কাটাবেন। ওইদিন পরিবারের যে সদস্য সবচেয়ে শেষে জাগেন তাঁর গায়ে জল ঢেলে দেওয়া হয়।
কখনও আবার ঘুমন্ত ব্যক্তিকে নদী, হ্রদ বা সমুদ্রের জলে ফেলে দিয়েও জাগানো হয়। ফিনল্যান্ডের নানতালিতে মধ্যযুগে এই মজার উৎসবের সূচনা হয়েছিল। ওইদিন সকাল ৭টা সময়টাকে ঘুম থেকে ওঠার আদর্শ সময় বলে ধরা হয়।
প্রতিবছর একজন ব্যক্তিকে বাছাই করা হয়। অনুষ্ঠানের আগে পর্যন্ত ঘুমন্ত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখা হয়। নির্দিষ্ট দিনে ওই ব্যক্তি সকাল ৭টার আগে না জাগলে তাঁকে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়। দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে নামীদামী লেখক, শিল্পী, রাজনীতিবিদ সকলেই এই মজার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।













