SciTech

মহাকাশের জোড়া রহস্য উদ্ঘাটন করতে অন্ধকারে ঝাঁপ দিতে চলল ইউক্লিড

মানুষের মহাকাশ সম্বন্ধে জ্ঞান যে এখনও অত্যন্ত প্রাথমিক স্তরেই সীমাবদ্ধ তা মেনে নেন বিজ্ঞানীরাও। এখনও চোখের সামনে থাকা বিষয়ও রহস্যই রয়ে গেছে তাঁদের কাছে।

মহাকাশ মানেই তো অন্ধকার মিশকালো এক অসীম জগত। যার শেষ বলে কিছু নেই। যত দূর দেখা যায় কেবল অন্ধকার আর অন্ধকার।

সেই অন্ধকারে আবার চোখে ধরা দেয় আলো ঝলমলে নক্ষত্রেরা। নজর কাড়ে আশপাশের গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুরাও। কিন্তু তার বাইরে সবটাই অন্ধকার।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এই অন্ধকার মহাবিশ্বের আলোকহীন বস্তু এবং অন্ধ শক্তির চরিত্র মানুষের এখনও অজানা। বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বে নজর দিলে এই অনন্ত অন্ধকারকে দেখতে পান ঠিকই, কিন্তু এর সম্বন্ধে কিছুই জানেন না।

নভশ্চরেরা মহাকাশে ঘুরেও এ রহস্যের কিনারা করতে পারেননি। কিন্তু আলোকহীন বস্তু এবং অন্ধ শক্তির চরিত্র না জানলে তো মহাবিশ্বকে চেনাই অসম্পূর্ণ! তাই এবার ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি মহাকাশে পাঠাচ্ছে অত্যাধুনিক স্পেস টেলিস্কোপ ইউক্লিড।

ইউক্লিড মহাকাশে পৌঁছে মহাবিশ্বের একটি নিখুঁত ত্রিমাত্রিক বা থ্রিডি ম্যাপ তৈরি করবে। এত বড় হবে সেই ম্যাপ যে তা আগে কখনও তৈরি হয়নি।

কোটি কোটি নক্ষত্রপুঞ্জের আকার ও নড়াচড়া নজর করবে ইউক্লিড। ১ হাজার কোটি আলোকবর্ষের মধ্যে যা পড়বে তাই নাগালের মধ্যে পাবে এই অতি শক্তিধর টেলিস্কোপ। সেই খুঁজে বার করবে মহাকাশের অন্ধকারের উৎস। আলো ফেলবে মানুষের এই অন্ধকার সম্বন্ধে অন্ধকারে থাকা জ্ঞানে।

ইউক্লিড যদি তার কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে তাহলে কিন্তু মহাবিশ্বের অনেক রহস্যই আর রহস্য থাকবেনা। মানুষ এই অসীম বিশ্বের অনেক অজানা কথাই জেনে ফেলতে পারবে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *