World

প্রাণে বেঁচে গেলে, মায়ের পায়ে গিয়ে চুম্বন কর, নির্দেশ বিচারকের

আদালত তখন ভর্তি। বিচার চলছে এক হত্যাকাণ্ডের। সেই সময় বিচারক অভিযুক্তকে তার মায়ের পায়ে চুম্বন করার নির্দেশ দিলেন। ছেলে এগিয়ে গিয়ে তাই করল।

অশান্তি শুরু হয় বাবার মৃত্যুর পর। বাবার মৃত্যুর পর সম্পত্তির অধিকার নিয়ে ভাইবোনে ঝামেলা বাঁধে। মধ্যবয়সী ছেলে বোনকে তাঁর উত্তরাধিকার থেকে সরে যেতে বলে। বোন সাফ জানিয়ে দেন বাবার উত্তরাধিকার সূত্রে তাঁর যা প্রাপ্য তিনি তা ছাড়বেন না।

এই অশান্তির জেরে একদিন বোনের গায়ে গ্যাসোলিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তার মধ্যবয়স্ক দাদা। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে বোনের দেহ। পুড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। ২০২১ সালে ঘটা এই ঘটনার পর ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুরু হয় বিচারপর্ব।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

সেই বিচারের সাজা ঘোষণার কথা গত সপ্তাহে। মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত ছিল। বাকি ছিল তা ঘোষণার। সে সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্তের মা।

তিনি উঠে দাঁড়িয়ে বিচারকের কাছে জানান, তাঁর মেয়েকে তিনি আর কখনওই ফিরে পাবেন না। পড়ে আছে তাঁর ওই একটি মাত্র ছেলে। তাকে যেন বিচারক মৃত্যুদণ্ড না দেন। চোখভরা জল নিয়ে ছেলেই তাঁর শেষ ভরসা বলে জানান ওই মহিলা।

ওই মহিলার বক্তব্য শোনার পর বিচারক দোষী সাব্যস্ত ছেলের দিকে তাকিয়ে নির্দেশ দেন সে যেন তখনই গিয়ে তার মায়ের পায়ে চুম্বন করে। মায়ের মাথায় ও পায়ে চুম্বনের নির্দেশ দেন বিচারক। ছেলেও তাই করে। আদালতে সবার সামনে মায়ের পা চুম্বন করে সে।

এরপর বিচারক সাজা শোনান। মৃত্যুদণ্ড কমে ওই ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। জানান কেবল তার মায়ের জন্য প্রাণে বেচে গেল সে। ঘটনাটি ঘটেছে মিশরের মানসৌরা আদালতে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *