চারিদিকে ধ্বংসলীলা, উপকূলের চেয়েও বেশি গতিতে ঝড় বইল দমদমে
ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশে প্রবেশের পর ঝড়ের গতি ছিল ১০০ কিলোমিটারের ওপর। আর কলকাতা সংলগ্ন দমদমে উপকূলের চেয়েও বেশি গতিতে ঝড় বয়েছে।
![Cyclone](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2024/05/cyclone-7.jpg)
সমুদ্র থেকে ঝড় যখন স্থলভাগে আছড়ে পড়ে তখন তার গতির ধাক্কা সবচেয়ে বেশি সামাল দিতে হয় উপকূলীয় স্থলভাগকে। সেখানে সবচেয়ে বেশি তছনছ হয়। কিন্তু গত রবিবার রাতে রেমাল বাংলাদেশের মোংলা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করার পর সেখানে প্রচুর গাছ ভেঙে পড়ে। একাধিক বাঁধ ভেঙে পড়ে। ঝড়ের সঙ্গে ছিল প্রবল বৃষ্টি। বাংলাদেশে আজ দিনভর প্রবল বৃষ্টি হবে।
এদিকে বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর রেমালের প্রবল প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের ওপর পড়ে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, উপকূলীয় স্থান সাগরদ্বীপে ৬৩ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়েছে। এছাড়া ক্যানিংয়ে ৭৮ কিলোমিটার, ডায়মন্ডহারবারে ৬৯ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়েছে।
সেখানে দমদমে ঝড়ের গতি ছিল সর্বোচ্চ ৯১ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। কলকাতায় ৭৪ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়েছে। ঝড়ের সঙ্গে ছিল প্রবল বৃষ্টি।
টানা বৃষ্টিতে কলকাতা সহ বহু অঞ্চল জলের তলায়। সোমবার সকালে সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিনেই কাজে বেরিয়ে বাস পেতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় মানুষজনকে। জল জমে থাকায় অনেক রুটে অটোও ছিল অমিল। ট্যাক্সি মোটা টাকা হেঁকেছে।
কলকাতায় রবিবার রাতে এক ব্যক্তির জীবনহানি হয়েছে ঝড়বৃষ্টির মাঝে পড়ে। বিবির বাগান এলাকায় তাঁর মাথায় কার্নিশ ভেঙে পড়ে। এদিকে গাছ ভেঙে পড়ে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় অনেক রুটে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা।
সোমবার সকালেও কলকাতার আকাশ মেঘে ঢাকা। সঙ্গে বৃষ্টি। বৃষ্টির দাপট কমলেও এদিন সারাদিনই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আপাতত বিভিন্ন রাস্তায় জমে থাকা জল নামলে এবং রাস্তায় ভেঙে পড়া গাছ সরানো হলে স্বাভাবিক জনজীবন ফিরে আসতে পারবে।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল সোমবার সকালে শক্তি হারিয়েছে। তা এখন সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ফলে এখন ঝোড়ো হাওয়া আর তার সঙ্গে বৃষ্টি ছাড়া রেমাল আর কোনও তাণ্ডব চালাতে পারবেনা।