এ রোল সে রোল নয়, মধুর স্বাদে এ রোলের মজাই আলাদা
চেনা এগ, চিকেন বা মটন রোল নয়। ভেজ রোলও নয়। তবে এ রোলও বাঙালির খুব চেনা। যে মধুর রোলটি এসেছিল বিদেশ থেকে।
মৌসুমি গুহ মান্না, কলকাতা : একটি জনপ্রিয় খাবার। যা আসলে সকলের চেনা রোলের মতই দেখতে। তবে ফাস্টফুডের দোকানের চিরাচরিত রোলের ধারেকাছেও তা নেই। কারণ স্বাদে, উপকরণে এবং প্রস্তুত পদ্ধতিতে উভয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে।
রোল বললে সাধারণত সকলে বোঝেন পরটার মধ্যে ডিম, মাংস, পনির বা কোনও তরকারিকে শসা, পেঁয়াজ, লঙ্কা আর সস দিয়ে মুড়ে তৈরি করা একটি জনপ্রিয় খাবার। তবে ভারতে আরও একধরনের রোল পাওয়া যায়। যার বাইরের দিকটা মুচমুচে আর ভিতরে রয়েছে মিষ্টি স্বাদ।
সুস্বাদু এই খাবারটির নাম ক্রিম রোল। যা একটি মুচমুচে বিস্কুটের খোলসের মধ্যে মিষ্টি ক্রিম ভরে তৈরি করা হয়। ভিতরের এই ক্রিমটি ভ্যানিলা, বাটার স্কচ কিংবা চকোলেট স্বাদের হয়। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেরই প্রিয় খাবার এই ক্রিম রোল।
ক্রিম রোলের ইতিহাস বেশ পুরনো। মনে করা হয় ক্রিম রোল প্রথম তৈরি হয় ইউরোপে। যা পরে ব্রিটিশদের হাত ধরে ভারতে আসে এবং এখানকার বেকারিগুলোতে জনপ্রিয় হয়। আগে এর ভিতরে ভ্যানিলা ক্রিমই থাকত। তবে পরবর্তীকালে স্বাদে কিছুটা নতুনত্ব আনা হয়।
ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বেকারিগুলি থেকে শুরু করে চায়ের দোকানেও ক্রিম রোল পাওয়া যায়। স্বাদ এবং গুণগত মানের ভিত্তিতে এর দামের পার্থক্য হয়। কলকাতার নিউ মার্কেটের কেক মার্কেটে ক্রিম রোলের বিরাট সম্ভার দেখা যায়। দামেও যা ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে।
নিউ মার্কেটেরই শতাব্দী প্রাচীন এক বাঙালি বেকারিতে বিভিন্ন স্বাদের ক্রিম রোল পাওয়া যায়। শুরুতে সেই দোকানে শুধুমাত্র ভ্যানিলা ক্রিমের রোলই পাওয়া যেত। তবে ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে পরবর্তীকালে তারা চকোলেট এবং বাটার স্কচ ক্রিমের রোলও রাখতে শুরু করে। ক্রিম রোলের সঙ্গে অনেকেরই শৈশবের মধুর স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। যা কলকাতার এই বেকারিগুলি বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে।













