তাজপুর-শঙ্করপুরের মাঝে একটি গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এমনই জানালেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাজপুর-শঙ্করপুরের মাঝে বঙ্গোপসাগরের ওপর ১৫ মিটার নাব্যতা সম্পন্ন একটি গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করা হবে। বড় জাহাজও যাতে আসতে পারে সেকথা মাথায় রেখে তৈরি হবে ১৮ কিলোমিটার ব্যাপী চ্যানেল। ফেজ ওয়ান বা প্রথম পর্যায়ে ৬টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৯টি, অর্থাৎ মোট ১৫টি বার্থ তৈরি করা হবে। প্রত্যেক টার্মিনালই হবে বহুমুখী। অর্থাৎ একটি টার্মিনালকে অনেকরকম ভাবে ব্যবহার করা যাবে। যার ফলে এখানে সব টার্মিনালেই যে কোনও ধরণের জাহাজ এসে মাল ওঠানো নামানোর কাজ করতে পারবে। অমিতবাবুর দাবি, এই বন্দরের সবচেয়ে বড় সুবিধা এখানে কোনও ব্রিজ তৈরি করতে হবে না। ফলে পরিকাঠামো তৈরির খরচ নামমাত্র। বন্দর থেকে সবচেয়ে কাছের রাজ্য সড়কের দূরত্ব ৮ কিলোমিটার। অন্যদিকে রেললাইন থাকছে মাত্র ১২ কিলোমিটারের মধ্যে। বড় জংশন স্টেশন কাঁথি ২৩ কিলোমিটার দূরে। ফলে রাজ্যের মুকুটে একটি নতুন পালক গুঁজতে চলেছে এই বন্দর। অমিতবাবুর দাবি, সাগরে যে বন্দর তৈরি করা হচ্ছে সেখানে কিন্তু ব্রিজ ও রাস্তা তৈরি করতে হচ্ছে। ফলে পরিকাঠামো তৈরি করতেই খরচ পরে যাবে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। সেখানে এই ডিপ সি পোর্ট তৈরির প্রথম পর্যায়ের খরচ পড়ছে মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকা। বন্দরটি সম্পূর্ণভাবে কার্যকরী হলে কর দেওয়ার পরও লভ্যাংশ ১৬ শতাংশ হবে। অর্থাৎ এটি একটি বিরাট লাভজনক প্রকল্প হতে চলেছে বলেই দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী। তাঁর আরও দাবি, এই বন্দর তৈরি হয়ে গেলে এটি পারাদ্বীপের মত একটি ফ্ল্যাটশিপ প্রকল্প হিসাবে চিহ্নিত হবে।
Read Next
March 19, 2024
ফের রাজ্য পুলিশের ডিজি বদল, এক বঙ্গসন্তানের হাতে দায়িত্ব সঁপল কমিশন
March 18, 2024
ডিজি রাজীব কুমারকে সরিয়ে নতুন ডিজি বেছে নিল নির্বাচন কমিশন
March 15, 2024
গন্তব্যে পৌঁছতে এক রোমহর্ষক সফর উপভোগ করলেন কলকাতাবাসী
March 14, 2024
মাথায় ৪টি সেলাই, রাতে মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় বাড়ি ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী
Related Articles
Comments