৩ পলাতক এখন শহরের চোখের মণি, বিশেষ কারণে তাদের ধরতে রাজি নন কেউ
তারা ৩ জন পালিয়েছিল তাদের খামার থেকে। তারপর সেখান থেকে অনেক দূরে এক জায়গায় পৌঁছে সেখানে তারা কিছুদিনের মধ্যেই সেলেব্রিটির মর্যাদা পাচ্ছে।

এক খামারেই তারা থাকত। একসঙ্গেই একদিন সেই খামার থেকে চম্পট দেয়। তারা ৩টি ছাগল। নিজেদের মধ্যে ফন্দি এঁটেই তারা একাজ করেছে কিনা তা পরিস্কার নয়। তবে তারা পালায় একসঙ্গে। আর একসঙ্গেই খামার থেকে অনেক দূরে এক সবুজে ঘেরা জায়গায় এসে থামে।
সেই জায়গা তাদের পছন্দও হয়। খাবারের অভাব নেই। সবুজ জমি চারধারে। সেখানেই তারা দিব্যি নিজেদের মত দিন কাটাতে শুরু করে। স্থানীয়রা প্রথমদিকে তাদের ধরার চেষ্টা করলেও তারপর তাঁদের মনে হয় ওই ৩ ছাগল তাদের জীবনের সেরা সময়টা এখানে কাটাচ্ছে। তাই এলাকাবাসী সকলেই তাদের ভালবাসতে শুরু করেন। তাদের কোনওভাবে উত্যক্ত করায় সকলেরই আপত্তি।
প্রথমদিকে অবশ্য আমেরিকার কানেকটিকাটের ক্লিনটন শহরে ঘুরে বেড়ানো ওই ৩ ছাগলকে তাদের খামারে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া স্থির করেছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু পরে তাঁরা একটি ভয়ের কারণে ত্রয়ীকে পাকড়াও করার রাস্তা থেকে সরে আসেন।
ক্লিনটন শহরের বাসিন্দারা তো বটেই এমনকি সেখানকার পশু সুরক্ষা সংগঠনও তাদের ধরার চেষ্টা থেকে দূরে থাকার বিষয়ে একমত হয়। কারণ সকলেই মনে করছেন তাদের চোখের মণি হয়ে ওঠা ওই ৩ ছাগলকে যদি ধরার চেষ্টা করা হয়, তাহলে তারা ভয় পেয়ে ছুটে পালানোর চেষ্টা করতে পারে।
সেক্ষেত্রে কোনওভাবে পালাতে গিয়ে যদি তারা রাজপথে উঠে পড়ে তাহলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যা কেউই চাইছেন না। তাই আপাতত গোটা শহরের ভালবাসা নিয়ে দিব্যি সবুজের বুকে নিজেদের মত করে জীবন কাটাচ্ছে খামার পলাতক ৩ ছাগল।