বদলে যেতে পারে কলম্বাসের ইতিহাস, গবেষণায় সামনে এল দুনিয়া কাঁপানো তথ্য
ক্রিস্টোফার কলম্বাস নামটার সঙ্গে নতুন করে কাউকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দরকার পড়েনা। তিনি বিশ্ববরেণ্য। কিন্তু তাঁর এতদিন ধরে জানা ইতিহাস বদলে যেতে পারে একটি গবেষণার ফলে।

ছিলেন বিশ্ব ভ্রমণকারী। সমুদ্র অভিযানের মাধ্যমে তিনি ইউরোপের একের পর এক দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। নতুন নতুন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তিনি একটি মহাদেশও আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন। যদিও প্রথমে তিনি সেটিকে অন্য মহাদেশ ভেবে ভুল করেছিলেন।
তিনি নতুন নতুন আবিষ্কার করতে ভালোবাসতেন। সেই আবিষ্কারের নেশাতেই পঞ্চদশ শতকে তিনি ইউরোপ থেকে জাহাজে চড়ে অজানার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। চিন এবং ভারতীয় উপমহাদেশে সহজে পৌঁছনোর রাস্তা আবিষ্কার করাই তাঁর লক্ষ্য ছিল।
তবে তিনি উল্টো রাস্তায় গিয়েছিলেন। পূর্বের বদলে পশ্চিমের রাস্তায় পাড়ি দেওয়ায় তিনি চিন এবং ভারতীয় উপমহাদেশের কোনও খোঁজ পাননি। তার বদলে খুঁজে পেয়েছিলেন সম্পূর্ণ নতুন এক মহাদেশ। আবিষ্কার করেছিলেন আমেরিকা।
সেই ইতিহাস বরেণ্য ব্যক্তিটি হলেন ক্রিস্টোফার কলম্বাস। ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী তিনি ইতালিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। স্পেনের ইউনিভার্সিটি অফ গ্রানাডার বিজ্ঞানী আন্টোনিও লরেনটের নেতৃত্বে কয়েক দশক ধরে একটি গবেষণা হয়েছে। তাতে জানা গেছে কলম্বাস মোটেই ইতালিয় নন, তিনি স্পেনের এক ইহুদি বংশে জন্মগ্রহণ করেন।
স্পেনের একটি টিভি চ্যানেলকে গবেষকরা জানান তাঁরা কলম্বাসের ২ পুত্রের দেহাবশেষ থেকে ডিএনএ-এর নমুনা সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করেন। দেখা গেছে ওই ডিএনএ স্পেনের ইহুদিদের সঙ্গে অনেক বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই গবেষকেরা দাবি করেন কলম্বাসের জন্মের সঙ্গে স্পেনের যোগ রয়েছে।
গবেষকদের দাবি সত্যি হলেও কলম্বাসের জন্মস্থান হিসাবে ইতালির নাম একেবারে বাদ দেওয়া যায়না। কারণ পঞ্চদশ শতকে অনেক ইহুদিকেই স্পেন থেকে বিতাড়িত করা হয়। তাঁরা তখন ইতালিতে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। যদিও সেটা ঘটেছিল কলম্বাসের জন্মের অনেক পরে। বিতর্ক যাই হোক না কেন ফরেনসিক বিশ্লেষণের তথ্য সত্যি হলে তা ইতিহাস বদলে দেবে।