Let’s Go

লুকোচুরি সমুদ্রসৈকতে চোখের সামনে হারিয়ে যায় সমুদ্র, কাছেই সেই জায়গা

সকলেই জানেন সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়তে থাকে নিরন্তর। কিন্তু খুব কাছেই রয়েছে এমন এক সমুদ্রসৈকত যেখানে সমুদ্র প্রতিদিন লুকোচুরি খেলে।

সমুদ্রের ধারে বেড়াতে যাননি এমন মানুষের সংখ্যা কমই। তাই সমুদ্র সম্বন্ধে ধারনা পরিস্কার। অগুন্তি ঢেউ সারাদিন ধরে আছড়ে পড়তে থাকে সমুদ্রসৈকতে। সেই ঢেউয়ের তালে অনেকে স্নান করেন। কেউ ধারে দাঁড়িয়ে পা ভেজান। কেউ কাটান সমুদ্রের বালির ওপর।

কিন্তু ওড়িশায় এমন একটি সমুদ্রসৈকত রয়েছে যা ভারতের তো বটেই, এমনকি বিশ্বের কয়েকটি আজব বিচের একটি। এখানে সমুদ্র চোখের সামনে গায়েব হয়ে যায়।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এই ছিল। দেখছিলেন সমুদ্রের ঢেউ। তারপরেই দেখলেন সমুদ্রটাই আর নেই। কোথায় গেল! দেখবেন সমুদ্র হারিয়ে গেছে। পড়ে আছে ভিজে বালি আর তার ওপর পায়ের পাতা ভেজানো জল।

ওড়িশার চাঁদিপুর সমুদ্রসৈকত এমনই এক লুকোচুরি বিচ যা প্রতিদিন মানুষকে অবাক করে চলেছে। সমুদ্রের সঙ্গে লুকোচুরি খেলতে এখানে হাজির হন অনেকে।

যখন ভাটা হয় তখন সমুদ্র এখানে ৩ থেকে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পিছনে চলে যায়। এই ৩ কিলোমিটার থেকে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সমুদ্র দেখতে পাওয়া যায়না। ফলে সমুদ্র তখন নজরে পড়ে না।

সামনে থাকে ভিজে বালির ওপর আলতো জলের আস্তরণ। সেই ভেজা বালির ওপর দিয়ে হেঁটে সমুদ্রের অনেকটা ভিতরে ঢুকে যাওয়া যায়। যখন এই হাঁটা হয় তখন পায়ের পাতা ভিজতে থাকে জলে।

দূর থেকে ছবি তুললে মনে হয় কেউ যেন জলের ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। জলের তলায় কোনও শক্ত জমি নেই। এমনভাবে ভাটার সময় অনেকেই সমুদ্রের অনেকটা ভিতরে পৌঁছে যান।

আবার জোয়ার আসার আগেই ফিরে আসেন সমুদ্রসৈকতে। কারণ জোয়ার এলে কিন্তু ফের সমুদ্র তার নিজ রূপ ধারণ করে। আছড়ে পড়তে থাকে বিশাল সব ঢেউ।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *