World

মাইনাস ৩৫ ডিগ্রি ঠান্ডায় জমে মৃত এক পরিবারের ৪ জনের পরিচয় জানা গেল

সীমান্তের ধার থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৪টি দেহ। ঠান্ডায় জমে মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের। বাবা, মা ও ২ সন্তানের এই মর্মান্তিক মৃত্যু চোখে জল এনেছিল অনেকের।

পারদ তখন মাইনাস ৩৫ ডিগ্রি। তুষারপাত হচ্ছে অনবরত। এতটাই কঠিন পরিস্থিতি যে চারধার তুষারপাতে ঝাপসা। প্রায় কিছু দেখা যাচ্ছেনা। হাড় হিম করা ঠান্ডা কোনও পোশাকে বাঁধ মানছে না।

এমনই এক ভয়ংকর আবহাওয়ায় ঘেরা পরিবেশে বরফের মধ্যে থেকে গত ১৯ জানুয়ারি উদ্ধার হয় ৪ ভারতীয়ের দেহ। উদ্ধারের পরই মনে করা হয়েছিল তাঁরা একই পরিবারের। বাবা, মা ও ২ সন্তানের এমনই এক মর্মান্তিক মৃত্যু হয় কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

সীমান্তে কানাডার দিক থেকে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ মনে করছে তাঁরা সীমান্ত পার করতে গিয়ে ঠান্ডার কবলে পড়েন। কানাডা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সীমান্ত পার করে ঢুকতে গিয়ে এই পরিস্থিতির শিকার হতে হয় তাঁদের।

যদিও সব দাবিই তদন্ত সাপেক্ষ। ওই অতিপ্রতিকূল আবহাওয়ায় আরও বেশ কয়েকজন ভারতীয়ের খোঁজ পাওয়া যায়। তাঁরাও সীমান্ত ধরেই হাঁটছিলেন।

এঁদের দাবি তাঁদের সঙ্গেই আরও ৪ জন ছিলেন। কিন্তু তাঁরা দলছুট হয়ে যান। এই ৪ জনের দেহই পাওয়া যায়। তখন পরিচয় জানা না গেলও এখন কানাডা পুলিশ জানতে পেরেছে মৃতরা ৪ জনই একটি গুজরাটি পরিবারের সদস্য।

এঁরা হলেন ৩৯ বছরের জগদীশ বলদেবভাই প্যাটেল, তাঁর স্ত্রী ৩৭ বছরের বৈশালীবেন প্যাটেল, তাঁদের মেয়ে ১১ বছরের বিহাঙ্গি প্যাটেল ও ছেলে ৩ বছরের ধার্মিক প্যাটেল। এঁরা গান্ধীনগরের দিনগুছা গ্রামের বাসিন্দা।

কানাডা পুলিশ দাবি করেছে এঁরা কানাডা থেকে বেড়া টপকে বেআইনিভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশের জন্য দালালদের ধরেছিলেন। এই দালালরা বেআইনিভাবে অর্থের বিনিময়ে সীমান্ত পার করায় মানুষজনকে।

৪ জন সীমান্ত পার করার জন্য ৭০ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন। গত ১২ জানুয়ারি এঁরা কানাডায় পৌঁছন। তাঁদের সীমান্ত পর্যন্ত গাড়িতে পৌঁছে কেউ পালিয়ে যায় বলে দাবি করেছে পুলিশ। এঁদের দেহ কবে ভারতে পাঠানো হবে তা এখনও পরিস্কার নয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *