ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের জন্ম কোন দেশে, জানলে অবাক হতে হয়
বাঙালি তো বটেই, এমনকি বিশ্বের প্রায় সব প্রান্তের মানুষই আলু ভাজা খেতে ভালবাসেন। যা বিশ্বের কাছে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। এই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কিন্তু মোটেও ফ্রান্সে তৈরি হয়নি।
আম বঙ্গবাসীর কাছে যা আলু ভাজা তাই বিশ্ববাসীর কাছে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। আধুনিক জীবনে অনেক বড় ছোট রেস্তোরাঁয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই পাওয়া যায় এই বাংলাতেও। মুচমুচে লম্বা লম্বা এই আলু ভাজা খেতে বেজায় সুস্বাদু। ফলে তার চাহিদাও বিশ্বজোড়া।
অনেকের বিশ্বাস এই বিশেষভাবে আলু ভাজা ফ্রান্সে তৈরি হয়েছিল বলে এর নাম ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। কিন্তু এর সঙ্গে ফ্রান্সের কোনও যোগ নেই। নাই এটা ফ্রান্সে তৈরি হয়েছিল।
এই খাবার তৈরি হয়েছিল বেলজিয়ামের একটি গ্রামে। এই গ্রামটির গা ঘেঁষে বয়ে গেছে মুজ নদী। এই নদীতে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। যা ছিল এই গ্রামের মানুষদের অন্যতম খাবার। তাঁরা মাছ ধরে তা ভেজে খেতে পছন্দ করতেন। কিন্তু সারাবছর তো মাছ পাওয়া যেত না।
কারণ সেখানে প্রবল ঠান্ডা পড়ে শীতকালে। আর সেই ঠান্ডায় নদীর জল যেত জমে। তখন আর গ্রামবাসীরা মাছ ধরতে পারতেন না। তাই তাঁরা একবার এক সময় শীতের সময় মাছের অভাব পূরণ করতে আলুকে বিশেষভাবে ভেজে খাওয়া শুরু করেন। জন্ম নেয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই।
তবে প্রশ্নটা থেকেই গেল। বেলজিয়ামেই যদি জন্ম তাহলে তার নাম ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কেন? ওই গ্রামের মানুষ একে মোটেও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বলতেন না। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যখন মার্কিন সৈন্যরা এখানে এই আলু ভাজার স্বাদ জানতে পারেন, সে সময় বেলজিয়ামের ওই অংশে কথ্য ভাষা ছিল ফ্রেঞ্চ বা ফরাসী।
যেহেতু সেখানকার মানুষ ফ্রেঞ্চ ভাষায় কথা বলতেন তাই মার্কিন সৈন্যরা এই আলু ভাজার নাম দিয়ে দেন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। সেই থেকেই বেলজিয়ামের গ্রামে জন্ম নেওয়া এই আলু ভাজা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই নামে বিখ্যাত হয়ে যায়।













