National

ভালবাসা আর চোখের জলে বাসভবন থেকে বিজেপি কার্যালয়ে পৌঁছয় দেহ

কৃষ্ণ মেনন মার্গ থেকে শুক্রবার সকাল ১০টায় অটলবিহারী বাজপেয়ীর কফিনবন্দি দেহ বার করে আনেন সেনাবাহিনীর পদস্থ আধিকারিকরা। রাখা হয় একটি কাচের শকটে। যা টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য সামনে ছিল একটি সেনার গাড়ি। যা গাঁদা ফুলের সাজে সাজানো হয়েছিল। আর যে শকটে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কফিন রাখা হয়েছিল তা সাজানো ছিল সাদা ফুলে। সেনাবাহিনীর ৩ বাহিনী স্থল সেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনার আধিকারিকদের উপস্থিতি ও তত্ত্বাবধানে শুরু হয় যাত্রা। তাঁর বাসভবন থেকে যাত্রা। যে বাড়িটায় আর কোনওদিন ফিরবেন না গৃহকর্তা অটলবিহারী বাজপেয়ী।

কৃষ্ণ মেনন মার্গ থেকে আকবর রোডে পৌঁছনো পর্যন্ত ভারতের জাতীয় পতাকায় মোড়া দেহ এগিয়েছে দুধারে সেনা বাহিনীর কুচকাওয়াজের মধ্যে দিয়ে। আকবর রোডে পড়ার পর কুচকাওয়াজ বন্ধ হলেও সেনা বাহিনীর জওয়ানরা ছুটেছেন গাড়ির পাশে। সেনার গাড়ির সারিই তাঁর শেষ যাত্রার কনভয়। ছিল স্থল, বায়ু ও নৌসেনার ৩টি গাড়ি। যাতে হাজির ছিলেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। আর ছিলেন রাস্তার দুধারে অজস্র মানুষ। সকলের মুখে ছিল একটাই ধ্বনি, অটলজি অমর রহে বা জব তক সূরজ চাঁদ রহেগা, অটলজি তেরা নাম রহেগা। গাড়ির গতি একটু বাড়লে বহু মানুষকে রোদের মধ্যেই গাড়ির পিছনে ছুটতে দেখা গেছে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এভাবেই আকবর রোড হয়ে মানসিং রোড হয়ে, ইন্ডিয়া গেট হয়ে তিলক মার্গ। একের পর এক রাস্তা পার হয়েছে অটলবিহারী বাজপেয়ীর শেষ যাত্রার কনভয়। আর মানুষ উপচে পড়েছেন তাঁকে শেষ দেখা দেখার জন্য। গন্তব্য বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে যখন দেহ পৌঁছয় তখন বেলা ১১টা। কৃষ্ণ মেনন মার্গ থেকে দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গ। এই ৬ কিলোমিটার যাত্রাপথে মানুষের ভালবাসার ছবি স্পষ্ট চোখে পড়েছে। এখনও এই জননেতার প্রতি মানুষের ভালবাসা যে কতটা তা দেখা গেছে মানুষের চোখের জলে।

বেলা ১১টায় যখন বিজেপি পার্টি অফিসে দেহ পৌঁছয় তখন গেটের সামনে হাজির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

(ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার – বিজেপি ফর ইন্ডিয়া)

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *