![Atal Bihari Vajpayee](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2018/08/atal-bihari-vajpayee-3.jpg)
বৃহস্পতিবার রাতেই অটলবিহারী বাজপেয়ীর দেহ এইমসে থেকে আনা হয়েছিল তাঁর কৃষ্ণ মেনন মার্গের বাসভবনে। সেখানেই শায়িত ছিল দেহ। রাজনৈতিক জীবন থেকে সরে যাওয়ার পর জীবনের শেষ কটা বছর এই বাড়িতেই কাটিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সেই বাড়িতেই শেষ রাতটা কাটালেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন পরিবারের লোকজন। কাচের কফিনে শায়িত নিথর দেহ রাখা হয়েছিল একটি হল ঘরে। সাদা ফুলে সাজানো হয়েছিল চারধার।
শুক্রবার সকাল থেকেই বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ভিড় জমতে থাকে বাসভবনে। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে একে একে হাজির হন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, বিজেপির প্রবীণ নেতা তথা অটলবিহারী বাজপেয়ীর বন্ধুসম লালকৃষ্ণ আডবাণী, বিজেপির আর এক প্রবীণ নেতা মুরলী মনোহর জোশী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। আসেন আরও বহু বিশিষ্টজন।
এদিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দেশের ৩ সেনা প্রধান। অটলবিহারী বাজপেয়ীর বাসভবনে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা। প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কফিনবন্দি দেহ তাঁর বাসভবনে নিয়ে আসে সেনাই। তারা ছিল সব দায়িত্বে।
ঠিক ছিল শুক্রবার সকাল থেকেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। ফলে সকাল থেকেই হাজির হতে থাকেন বহু মানুষ। আসেন জাভেদ আখতার ও শাবানা আজমি। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের কাছে স্মৃতি রোমন্থনও করেন তাঁরা।
বেলা ১০টায় তাঁর কফিনবন্দি দেহ একটি ফুলের সাজে সাজানো শববাহী গাড়িতে তোলেন সেনা বাহিনীর পদস্থ আধিকারিকরা। তাঁরা কার্যত কাঁধ দেন। এরপর গাড়িটি নিয়ে শুরু হয় যাত্রা। গন্তব্য ছিল বিজেপির সদর দফতর। এদিন সকাল থেকেই অটলবিহারী বাজপেয়ীর বাড়িতে এসেছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তিনিই ছিলেন যাবতীয় তত্ত্বাবধানে।
(ছবি – সৌজন্যে – ট্যুইটার – বিজেপি ফর ইন্ডিয়া)