National

বন্যায় মৃত ৩, বিধ্বস্ত ২ লক্ষ, টানা ৪ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাসে জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি

ক্রমশ জটিল আকার নিচ্ছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২ লক্ষ মানুষ বন্যা বিধ্বস্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ভারী বৃষ্টি হয়েছে অসমে। ফলে জলস্তর বেড়েই চলেছে। জলে ডুবে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধসে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। প্রবল বর্ষণের জেরে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ধস নেমেই চলেছে। ফলে অনেক জায়গায় যেমন রাস্তা আটকে যাচ্ছে। তেমনই পাহাড়ের কোলে থাকা জনবসতি প্রভাবিত হচ্ছে।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৪ দিন অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মিজোরাম ও নাগাল্যান্ডে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। ফলে এখনই যে অসমের এমন শোচনীয় পরিস্থিতি, আরও ৪ দিন টানা প্রবল বর্ষণের পর সেখানকার পরিস্থিতি কী হবে তা অনুমান করতেই ভয় পাচ্ছেন মানুষজন। অসমে এখনও পর্যন্ত বন্যায় ধেমাজি, লখিমপুর, বিশ্বনাথ, দারাং, বড়পেটা, নলবারি চিরাং, মাজুলী, গোলাঘাট, যোরহাট ও ডিব্রুগড় জেলার ৫৩০টি গ্রাম জলের তলায় চলে গেছে। ২ লক্ষ মানুষ বন্যা বিধ্বস্ত পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন। ধেমাজি ও লখিমপুরের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়।

বৃষ্টি কিন্তু হয়েই চলেছে। ফলে অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে অসমে। রাজ্য সরকার পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ইতিমধ্যেই কাজে নেমেছে। দুর্গত মানুষজনকে উদ্ধার করার পাশাপাশি বন্যা কবলিত এলাকায় খাবার ও পানিয় জল পৌঁছে দিচ্ছে তারা। ব্রহ্মপুত্র নদ সহ ধানসিঁড়ি, জিয়া ভারালি, পুথিমারি ও বেকি নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে।

ব্রহ্মপুত্র নদের জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বওয়ায় সেই জল হুহু করে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে ঢুকছে। যা সেখানকার প্রাণিদের ক্রমশ অন্যত্র সরতে বাধ্য করছে। যেসব জায়গায় জল ভরেছে সেখান ছেড়ে পশুপাখিরা অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় পালাতে বাধ্য হচ্ছে। অন্যদিকে এখনই জল যেভাবে ঢুকেছে তাতে অসমের ১৩ হাজার ২৭৬ হেক্টর চাষজমি জলের তলায় চলে গেছে। প্রবল ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। এরমধ্যেই আবার আরও ৪ দিন টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *