Sports

বাবার জন্য ভারতরত্ন চেয়ে হাত পাতবেন না তিনি, জানালেন ধ্যানচাঁদের ছেলে

বৃহস্পতিবার পালিত হচ্ছে জাতীয় ক্রীড়া দিবস। ২৯ অগাস্ট হল ভারতের কিংবদন্তী হকি তারকা ধ্যানচাঁদের জন্মদিবস। এই দিনটিকে সামনে রেখেই পালিত হয় জাতীয় ক্রীড়া দিবস। অথচ ভারতকে ৩ বার অলিম্পিকে সোনা এনে দেওয়া সেই ধ্যানচাঁদ এখনও ভারতরত্ন সম্মান পাননি। হকির জাদুকরের জন্য এটা অপমান বলে মনে করছেন তাঁর ছেলে অশোক কুমার। যিনি নিজেও ভারতীয় হকি দলের অধিনায়ক ছিলেন। এখন পর্যন্ত তাঁকে বিশ্বের সেরা ড্রিবলার বলে মনে করেন হকি বিশেষজ্ঞেরা।

অশোক কুমার ক্ষোভের সঙ্গেই সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি ধ্যানচাঁদকে ভারতরত্ন দেওয়ার ফাইলে সই করে দিয়েছিলেন। তাঁদের পরিবারকে সেকথা জানিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে তাঁর বাবাকে ভারতরত্ন প্রদান করা পিছোতে থাকে। এটা শুধু তাঁদের পরিবারের জন্য অপমানকর নয়, এটা তাঁর বাবার জন্যও অপমানকর। অশোক কুমার সাফ জানিয়েছেন, ভারতরত্ন পাওয়াটা সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

তিনি যে ধ্যানচাঁদকে ভারতরত্ন দেওয়া হোক বলে ভিক্ষা করবেন না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন অশোক কুমার। জানিয়েছেন এটা সরকারি সিদ্ধান্ত। তারা যখন মনে করবে ধ্যানচাঁদকে ভারতরত্ন দেওয়া উচিত তখন দেবে। তবে অশোক কুমার মনে করিয়ে দেন, ১৯৩৬ সালে বার্লিন অলিম্পিকে ফাইনালে জার্মানিকে হারিয়ে অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। সেই ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন হিটলার। সে সময় ধ্যানচাঁদের ব্যাগে থাকত একটি তিরঙ্গা পতাকা। যা তিনি বার্লিনে উড়িয়ে ছিলেন। এতটাই দেশপ্রেম ছিল তাঁর মধ্যে। ধ্যানচাঁদকে চরম জাতীয়তাবাদী বলে দাবি করেন তাঁর ছেলে। ভারতীয় ক্রীড়ার এমন এক কিংবদন্তী এখনও ভারতরত্ন না পাওয়াকে তিনি যে মেনে নিতে পারছেন না তা পরতে পরতে বুঝিয়ে দিয়েছেন অশোক কুমার।

কথা প্রসঙ্গে অশোক কুমার ২টি ঘটনার গল্প বলেন। ধ্যানচাঁদ ব্যক্তিগত জীবনে কতটা সাধারণ ছিলেন তা বোঝাতে অশোক কুমার বলেন, সেবার ঝাঁসির একটি অনুষ্ঠানে ধ্যানচাঁদকে প্রধান অতিথি করে ডাকা হয়। কিন্তু উদ্যোক্তারা সময়ে গাড়ি পাঠাতে পারেননি। ধ্যানচাঁদ তখন পড়শিকে বলেন তাঁর ভাঙাচোরা সাইকেলে অনুষ্ঠান মঞ্চে পৌঁছে দিতে। সেখান পৌঁছনোর পর উদ্যোক্তারা ক্ষমা চেয়ে জানান যাওয়ার সময় তাঁরা গাড়ি দিয়ে দেবেন। কিন্তু ধ্যানচাঁদ জানান, তিনি পড়শিকে অনুরোধ করে তাঁর সাইকেলে এসেছেন। তাই ফেরতও যাবেন তাতেই। অশোক কুমার জানান, ১৯৩৭ সালের ওই সময়টায় ইউরোপে সর্বাধিক পরিচিত ভারতীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন গান্ধীজি। আর দ্বিতীয় নামটা ছিল ধ্যানচাঁদ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *