কাছেই রয়েছে কাদামাটির আগ্নেয়গিরি, ঘুরে আসতে পারেন
আগ্নেয়গিরি সম্বন্ধে একটা ধারনা প্রায় সকলেরই আছে। কিন্তু কাদামাটির আগ্নেয়গিরি সম্বন্ধে হয়তো কারও কারও জানা নেই। এদেশে এমন আগ্নেয়গিরি রয়েছে।
আগ্নেয়গিরি মানেই তো পাহাড়ের মাথায় জ্বালামুখ ফেটে বার হওয়া গরম ধোঁয়া, ছাই, পাথরের টুকরো আর গড়িয়ে পড়া লাভা স্রোত। কাদামাটিরও যে আগ্নেয়গিরি হয় তা কারও কারও জানা নাও থাকতে পারে। এমন আগ্নেয়গিরি বিরল।
ভারতে এমন আগ্নেয়গিরি রয়েছে যা কাদামাটির আগ্নেয়গিরি বা মাড ভলক্যানো নামে পরিচিত। এই কাদামাটির আগ্নেয়গিরি একটু অন্যরকম হয়। এখানে কাদামাটি টগবগ করে ফুটতে থাকে। যা বুদবুদ তৈরি করে।
এমন আগ্নেয়গিরি সাধারণ আগ্নেয়গিরির মত বিশাল হয়না। বরং ছোট ছোট টিলার মত হয়। তাও কাদামাটিতে তৈরি। মাটির তলা থেকে বিস্ফোরণের মত হয়েই এই কাদামাটি বেরিয়ে আসে বাইরে।
ভারতে আন্দামান ও নিকোবরের বারাটাং দ্বীপে এমন কাদামাটির আগ্নেয়গিরি রয়েছে। অনেক পর্যটক যাঁরা আন্দামানে ঘুরতে যান তাঁরা এই মাড ভলক্যানো দেখতে হাজির হন বারাটাং দ্বীপে।
এখানে নিতাম্বুর নামে জায়গায় ১৯৮৩ সালে একটি জোড়াল বিস্ফোরণ হয়। যা একটি বড়সড় কাদামাটির আগ্নেয়গিরির কারণে হয়। অনেকেই এই কাদামাটির তৈরি ছোট চেহারার আগ্নেয়গিরি দেখতে হাজির হন।
বারাটাং দ্বীপে অবশ্য এমন কয়েকটি কাদামাটির আগ্নেয়গিরি রয়েছে। ভারতের আর কোথাও এমন কাদামাটির আগ্নেয়গিরি না পাওয়া গেলেও চিন, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়ার মত দেশে এমন আগ্নেয়গিরি রয়েছে।
এছাড়া রাশিয়াতেও এমন আগ্নেয়গিরি দেখা যায়। দক্ষিণ আমেরিকার ২টি দেশ ভেনিজুয়েলা এবং কলম্বিয়াতেও রয়েছে কাদামাটির আগ্নেয়গিরি।