National

আন্দামানবাসীকে স্বাধীনতা দিবসের আগাম উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী

স্বাধীনতা দিবসের দিনটা আসতে এখনও কটা দিন বাকি। তার আগেই আন্দামানবাসীকে স্বাধীনতা দিবসের আগাম উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

নয়াদিল্লি : আন্দামানবাসীরও সময়ের সঙ্গে তাল মেলানোর সমান অধিকার রয়েছে। কিন্তু সে আন্দামানের বাসিন্দাই হোন বা বাইরে থেকে সেখানে ঘুরতে যাওয়া পর্যটক। সকলেই বঞ্চিত হচ্ছিলেন আধুনিক জীবনের এই সুবিধা থেকে। দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে। যা দীর্ঘদিনের এক আবশ্যিক প্রয়োজন। সেই দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা দ্বীপরাজ্যে পৌঁছে দিতে ২ বছর আগেই উদ্যোগ নিয়েছিল মোদী সরকার। ২ বছর বাদে এদিন সেই প্রকল্পের উদ্বোধন হল। বঙ্গোপসাগরের তলা দিয়ে পাতা হল সাবমেরিন অপটিক্যাল ফাইবার কেবল। যার হাত ধরে অনলাইন ক্লাস হোক বা অনলাইন কেনাকাটা, অনলাইন বিনোদন হোক বা অনলাইন ব্যাঙ্কিং সব ক্ষেত্রেই প্রভূত সুবিধার রাস্তা খুলে দেল আন্দামানবাসীর জন্য।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন এই প্রকল্পের সূচনা করেন। তিনি জানান এটা স্বাধীনতা দিবসের আগে আন্দামানবাসীর জন্য উপহার। এটা আন্দামানবাসীর জন্য সত্যিই উপহার তা বলাই বাহুল্য। এর ফলে চেন্নাইয়ের সঙ্গে অপটিক্যাল ফাইবারে জুড়ে গেল পোর্ট ব্লেয়ার। ২ হাজার ৩০০ কিলোমিটার লম্বা অপটিক্যাল ফাইবার জুড়ে দিল স্বপ্নকে। জলের তলা দিয়ে ফেলা এই অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ তৈরি করতে সময় লাগল ২ বছর। খরচ হল ১ হাজার ২২৪ কোটি টাকা। এই অপটিক্যাল ফাইবার চেন্নাই ও পোর্ট ব্লেয়ারের মধ্যে প্রতি সেকেন্ডে ২x২০০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ দেবে। আর পোর্ট ব্লেয়ারের সঙ্গে অন্যান্য দ্বীপের মধ্যে ২x১০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ দেবে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এই সুবিধা আগামী দিনে আন্দামানের পর্যটনকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে আন্দামানের জন্য নীল অর্থনীতির কথা বলেছেন। নীল জলে ঘেরা আন্দামানের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে এই দ্রুত গতি সম্পন্ন ইন্টারনেটের সুবিধা যুগান্তর আনবে বলেই মনে করছেন সকলে। এই অপটিক্যাল ফাইবার পোর্ট ব্লেয়ার বলেই নয়, যুক্ত করেছে স্বরাজ দ্বীপ, লিটল আন্দামান, কার নিকোবর, কামোরতা, গ্রেট নিকোবর, লঙ্গ আইল্যান্ড ও রাণঘাটকে।

আন্দামানে ঘুরতে আসা পর্যটকদেরও অভিযোগ ছিল এখানে ইন্টারনেট পরিষেবা দুর্বল। যার জন্য অনেক দ্বীপে বেশি সময় কাটানোর ইচ্ছা থাকলেও তাঁরা সেখানে থাকা থেকে বিরত থাকছিলেন। দ্রুত ফিরছিলেন বেড়িয়ে। এবার তাঁরা আর সেই অভিযোগ করতে পারবেননা। যা কিন্তু আদপে ছাপ ফেলবে আন্দামানের অর্থনীতিতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *