Business

জেলবন্দি মহিলারাই দিওয়ালীর আগে মেটাচ্ছেন অনলাইনের চাহিদা

আর একমাসের সামান্য বেশি সময় পর দিওয়ালী। তার আগে দিওয়ালীকে কেন্দ্র করে বিপুল চাহিদা তৈরি হয় অনলাইন বাজারে। সেই চাহিদা মেটাচ্ছেন জেলবন্দি মহিলারা।

দুর্গাপুজো কার্যত দরজায় কড়া নাড়ছে। আর দুর্গাপুজো পার করলেই আকাশে বাতাসে দিওয়ালীর গন্ধ। খাতায় কলমে দিওয়ালী আর এক মাস ও কটা দিনের অপেক্ষা।

মানুষের অপেক্ষা এখনও কিছুদিনের হলেও বাজারের আর অপেক্ষার সময় নেই। চাহিদা বাড়ার আগেই যথেষ্ট মালের যোগান তৈরি রাখা তাদের লক্ষ্য।


করোনা আবহে বাজারের ভিড় এড়িয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য মানুষের পছন্দে এখন অনেক বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে অনলাইন কেনাকাটা। ই-কমার্স সাইট থেকে পছন্দের জিনিস বেছে অর্ডার করলেই বাড়ি বয়ে এসে দিয়ে যাচ্ছে সবকিছু।


ভারতে উৎসবকে কেন্দ্র করে কিছু বিশেষ জিনিসের চাহিদা তৈরি হয়। যেমন দিওয়ালীতে চাহিদা তুঙ্গে ওঠে লক্ষ্মী গণেশের মূর্তি বা মাটির প্রদীপের। এখন মানুষ এগুলিও আর দোকান থেকে কেনার চেয়ে অনলাইনে কেনা বেশি পছন্দ করেন।

এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে যোগান তৈরি রাখতে ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন কোমর বেঁধে এখনই লেগে পড়েছে। তারা এই লক্ষ্মী গণেশের মূর্তি বা মাটির প্রদীপের চাহিদা পূরণে একটা অংশ কিনে নিচ্ছে একটি সংগঠনের কাছ থেকে। যে সংগঠন জেলবন্দি মহিলাদের দিয়ে তৈরি করাচ্ছে লক্ষ্মী গণেশের মূর্তি এবং গোবরের দিয়া বা প্রদীপ।

গোবরের সঙ্গে মাটি মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে দিয়া। মাটিকে ছাঁচে ফেলে তৈরি হচ্ছে লক্ষ্মী গণেশের মূর্তি। ১০ হাজার এমন মূর্তি ও দিয়া তৈরি করছে জেলবন্দি সাজাপ্রাপ্ত মহিলারা।

মোরাদাবাদ জেলা সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছে ১৩০ জন মহিলা। তাদের মধ্যে ২০ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে লক্ষ্মী গণেশের মূর্তি ও প্রদীপ তৈরির জন্য। এরাই আগামী ২০ দিনের মধ্যে তৈরি করবে এগুলি। আপাতত তাই তাদের নাওয়া খাওয়া লাটে ওঠার জোগাড় হয়েছে সময়ে সব তৈরি করে যোগান দিতে।

প্রথমে মাটি ও গোবর মিশিয়ে তারপর দিয়া বা মূর্তি তৈরি করে এবার তা শোকানো হচ্ছে। শুকিয়ে গেলে সেগুলি রঙিন করে তোলা হচ্ছে। যা বিক্রির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে জেলের মধ্যেই।

যে মহিলা বন্দিরা এটা করছে তাদের পারিশ্রমিকও দেবে সংগঠন। সেজন্য তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button