World

জিম্বাবোয়েতে গৃহবন্দি হলেন প্রেসিডেন্ট মুগাবে

সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটল জিম্বাবোয়েতে। রাজধানী হারারের দখল নিয়েছে সে দেশের বিদ্রোহী সেনা। সেনার দাবি দেশের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে সস্ত্রীক তাদের হেফাজতে নিরাপদ আছেন। এক টেলিভিশন বার্তায় তাঁদের সুরক্ষাও নিশ্চিত করেছেন জিম্বাবোয়ে সেনার মেজর জেনারেল সিবুসিসো মোয়ো। তাঁর দাবি, দেশের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তাঁদের কোনও অসন্তোষ নেই। কিন্তু তাঁর আশপাশে যেসব দুর্নীতিগ্রস্তরা রয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াই তাঁদের উদ্দেশ্য। সেই কাজ শেষ হলেই ফের দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সেনা।

এদিকে এদিন জিম্বাবোয়ের রাজধানী হারারের রাস্তায় নেমে পড়ে ট্যাঙ্ক। রাজপথের দখল নেয় সেনা। দেশের সমস্ত সরকারি কার্যালয়ও সেনার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইতিমধ্যেই তারা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দফতর জেবিসি স্টেশন নিজেদের দখলে নিয়েছে।

গত সোমবার জিম্বাবোয়ের প্রতিরক্ষা বিভাগের কম্যান্ডার জেনারেল কনস্টানটাইন চিওয়েঙ্গা এমন এক সম্ভাবনা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। প্রসঙ্গত ১৯৮০ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার পর স্বাধীন জিম্বাবোয়ের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন রবার্ট মুগাবে। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত তিনি জিম্বাবোয়ের প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত। বর্তমানে তাঁর বয়স ৯৩। যদিও বয়সের জন্য শাসনভার পরিচালনায় তাঁর কোনও সমস্যা হয়নি। মুগাবের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে বিবাদ চলছিল সেনা প্রধানের। সেই কারণে দেশে সেনা অভ্যুত্থানের মতো ঘটনার আশঙ্কা করছিলেন অনেকেই। এদিকে আচমকা দেশে সেনা অভ্যুত্থানে জিম্বাবোয়েবাসী হতবাক। এখনও তাঁরা পুরো বিষয়টায় ধাতস্থ হয়ে উঠতে পারেননি।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *