পৃথিবীর অন্যতম রহস্যঘন আশ্চর্য গর্ত, দূর থেকেও পাওয়া যায় দুর্গন্ধ
মানুষের মুখে মুখে ঘোরে নানা ভয় ধরানো কাহিনি। স্থানীয়দের কাছে এ হল নরকের কুয়ো। যার ধারে ঘেঁষতেও গা ছমছম করে। দুর্গন্ধ পাওয়া যায় দূর থেকে।

পৃথিবীতে এমন অনেক রহস্যময় জায়গা রয়েছে যার প্রকৃত সত্য কেবল প্রকৃতিই জানেন। সাধারণ মানুষের কাছে এমনই এক রহস্যময় স্থান হল বারহুত কুয়ো। চারধারে শুকনো প্রান্তর। দূর দূর অব্ধি মানুষের দেখা পাওয়া যায়না। এর কাছে ঘেঁষতেও ভয় পান মানুষজন।
এর খুব কাছে যাওয়ারও দরকার পড়েনা। তার আগেই চড়া দুর্গন্ধে পালাতে হয়। এই কুয়োকে ঘিরে নানা কাহিনি মুখে মুখে ঘোরে। কেউ বলেন এটাই হল নরকের কুয়ো। যেখানে দানবরা কাউকে ফেলে দিয়ে শাস্তি দিত। কেউ বলেন এই গর্ত মুখ থেকে একদিন বেরিয়ে আসবে দানবের দল।
এমন নানা কাহিনি বছরের পর বছর ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ কুয়োর তলায় কি আছে তা জানার চেষ্টা যে হয়নি এমনটা নয়। তবে তা চরম প্রতিকূলতার কারণে সম্ভব হয়নি।
অবশেষে গুহা বিশেষজ্ঞদের একটি দল ২০২১ সালে ইয়েমেনের আল মাহারা প্রদেশের শুষ্ক প্রান্তরের মাঝে রহস্য ঘেরা এই গুহায় প্রবেশ করতে সক্ষম হয়। দলটি ১০০ ফুটের এই গর্তের মুখ দিয়ে নিচে যায়।
অন্ধকার গর্তের মধ্যে প্রবেশের সময় দলটি আজব সব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে। এভাবে ৩৬৭ ফুট গভীর তলদেশে পৌঁছয় তারা। সেখানে তারা ক্যালসিয়ামের জমাট স্তূপ দেখতে পায়।
দলটি সাপেরও দেখা পেয়েছে গর্তের তলায়। আর দেখেছে অনেক পশুপাখির নিথর দেহ। গর্তটির যে পাথরের দেওয়াল রয়েছে তার খাঁজ থেকে অনেক জায়গায় জল বার হচ্ছে। যা গর্তের তলদেশে ঝর্ণার মত পড়ছে।
গর্তের তলদেশও বেশ রহস্যময়। প্রাকৃতিক ভাবেই এই গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যা লক্ষ লক্ষ বছর ধরে এমনভাবেই রয়েছে। বারহুত কুয়ো কিন্তু এখনও পৃথিবীর মানুষের কাছে এক অন্যতম রহস্য ঘেরা আশ্চর্য গর্ত। যাকে সকলে ডাকেন নরকের কুয়ো নামে।