
ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে তাঁর অশ্লীল ছবি। একবার নয় বারবার। এভাবে সকলের সামনে তাঁকে নিচু না করতে তর্জনগর্জন থেকে অশ্রু বিসর্জন কোনও চেষ্টাই বাদ দেননি তিনি। কিন্তু তাতেও কোনও ফল হয়নি। ফের রবিবার একই কাজ। ফের তাঁর অশ্লীল ছবি ফেসবুকে দেখে আর স্থির থাকতে পারেননি ওই তরুণী। ক্ষোভে, দুঃখে, অপমানে আত্মহননের পথ বেছে নেন তিনি। তরুণীর পরিবারের তরফে এমনই দাবি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে। সূত্রের খবর, বছর দুয়েক আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে প্রতিবেশি এক যুবককে বিয়ে করেন ওই তরুণী। পরিবারের দাবি, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই দুজনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। ফলে বাপের বাড়ি চলে আসেন ওই তরুণী। বাপের বাড়ি চলে আসার পর থেকেই তাঁকে উত্যক্ত করা শুরু করে তাঁর স্বামী। ফেসবুকে স্ত্রীয়ের অশ্লীল ছবিও পোস্ট করতে থাকে সে। তরুণীর পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে বারবার ওই তরুণী এমন কাজ করতে তাঁর স্বামীকে মানা করেছিলেন। কিন্তু সে না শোনায় অবশেষে পুলিশকেও জানান তারা। তারপরও একইভাবে চলছিল ফেসবুকে ওই তরুণীর অশ্লীল ছবি আপলোড। অভিযুক্ত যুবক প্রথমে পলাতক থাকলেও সোমবার রাত্রে পুলিশ তাকে বিষ্ণুপুর থানার খড়িবেরিয়া থেকে গ্রেফতার করে বলে সূত্রের খবর।