দার্জিলিংয়ে বেড়াতে গেলে ভুলেও একাজ করবেননা, করলেই মোটা টাকার জরিমানা
দার্জিলিং বেড়াতে তো অনেকেই যান। তবে আগামী দিনে দার্জিলিংয়ে বেড়াতে গেলে একটা কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে। ভুলেও একাজ করা যাবেনা। করলেই মোটা অঙ্কের জরিমানা।

বাঙালির সঙ্গে দার্জিলিং নামটার একটা অমোঘ যোগ। বাঙালিরা অনেকেই একটু সময় পেলে দার্জিলিং ঘুরে আসেন। দার্জিলিং তাই চিরকালই এক অন্যতম পর্যটনস্থল। বাঙালিরা তো বটেই, অন্য অনেক রাজ্য থেকেও পর্যটকেরা দার্জিলিংয়ের টানে চলে আসেন বেড়াতে।
বিদেশিরাও বাদ যান না। দার্জিলিং শহর তাই সদাই পর্যটকের ভিড়ে গমগম করে। দার্জিলিংয়ে যাঁরা ঘুরতে গেছেন তাঁরা অনেকেই বাঁদরদের সম্মুখীন হয়েছেন। তাদের কলা বা অন্যান্য খাবার খাইয়েছেন। কিন্তু আর সে ভুল করা যাবেনা।
বাঁদরদের কোনও কিছু খাওয়ানো সম্পূর্ণ নিষেধ করে দিল দার্জিলিং প্রশাসন। সেখানে আর কেউ বাঁদরদের কোনও খাবার খাওয়াতে পারবেননা।
সে স্থানীয় হন বা পর্যটক, কাউকে যদি বাঁদরদের খাওয়াতে দেখা যায় তাহলে মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হবে। সেই জরিমানার অঙ্ক এককালীন ৫ হাজার টাকা।
বাঁদরদের কোনও কিছু খাওয়ানো কঠোরভাবে বন্ধ করে দেওয়ার পিছনে মূলত ২টি কারণ দেখাচ্ছে দার্জিলিং প্রশাসন। এক হল বাঁদর ও মানুষের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব মাঝেমধ্যেই সমস্যার কারণ হয় তা বন্ধ হবে।
দুই, বাঁদররা জানে তারা পর্যটক হোক বা স্থানীয় মানুষ, শহরে এলে তাদের কাছে খাবার পাবে। তাই তারা জঙ্গল ছেড়ে শহরে ঘোরাফেরা করে। এতে তাদের প্রকৃতি থেকে খাবার সংগ্রহ করে নেওয়ার স্বাভাবিক অভ্যাস নষ্ট হচ্ছে। তারা জঙ্গলে যেতে চাইছে না।
বরং সহজেই খাবার পাওয়ায় শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখানে খাবার না পেলে তারা তাদের স্বাভাবিক অভ্যাসে ফিরতে পারবে। ফের জঙ্গলমুখী হবে। আর নিজেদের খাবার নিজেরাই সংগ্রহ করে নিতে পারবে। তাই আগামী দিনে দার্জিলিং গেলে ভুলেও আর বাঁদরদের খাওয়ানো নয়।