
রাতে ছিল দোকান। সকালে শুধুই ভাঙাচোরা ধ্বংসস্তূপ। তছনছ বাঁকুড়ার ছান্দর ইউনিট-১ প্রাথমিক স্কুলের ঘর। পড়ুয়াদের মিড-ড মিলের চালের বস্তা সাফ। রাতারাতি একপ্রস্ত ডাকাতি করে হাতির দল ফিরে গিয়েছে জঙ্গলে। এদিকে সকালে উঠে মাথায় হাত গ্রামবাসী থেকে ব্যবসায়ী, সকলের।
বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় ও বৃন্দবাদনপুর এলাকার গ্রামগুলিতে বেশ কিছু দিন ধরে এভাবেই হাতির হামলায় নাকাল হচ্ছেন বাসিন্দারা। বন দফতর হাতিগুলির ওপর নজর রাখলেও গ্রামে তাদের ঢোকা আটকাতে পারছে না। স্থানীয় ৩টি হাতিই এমন তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে তাদের দাবি। অন্যদিকে গ্রামবাসীদের দাবি, বন দফতরের নজরদারির অভাব রয়েছে। অনেকের মতে, পর্যাপ্ত সংখ্যায় বনকর্মী না থাকাতেই সম্ভব হচ্ছে না হাতির মোকাবিলা করা। এর ফলে দিনের পর দিন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে গ্রামের সাধারণ মানুষগুলির জীবনযাত্রা। শনিবার ছান্দর গ্রামের মানুষজন পথ অবরোধও করেন এর প্রতিবাদে।
তবে সতর্কতার দাওয়াই দিচ্ছে বন দফতর। বেলিয়াতোড়ের বৃন্দবাদনপুর ও খাগ বিট এলাকার মানুষের বাড়ির বাইরে বেরনো নিয়ে সতর্কতার প্রচার চালানো হচ্ছে।













