
বিকেল গড়িয়ে এসেছে। ভোটও প্রায় শেষ লগ্নে। বেলাগাম গরম আর ভোটের উত্তাপ, দুটোই পশ্চিমে ঢলে পড়া সূর্যের মত ক্লান্ত, অবসন্ন। এমন একটা সময়ে হঠাৎই সরগরম হয়ে উঠল জোড়াসাঁকো কেন্দ্রের আর্যকন্যা স্কুলের সামনের রাস্তা। গলার শিরা ফুলিয়ে চেঁচানো যুবকটির মুখের কাছে আচমকাই মুখ নিয়ে গিয়ে কী একটা শুঁকলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তারপরই পাল্টা আক্রমণ। আপনি মদ খেয়ে আছেন? মদ খেয়ে বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে কী করছেন? কর্তব্যরত পুলিশদের দিকে চেয়েও একই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন বাবুল। ততক্ষণে বেগতিক আঁচ করতে পেরেছেন যুবকের সঙ্গে থাকা মহিলা। তিনিই যুবকটিকে সেখান থেকে পালানোর পরামর্শ দেন। না, আর দেরি করেননি ওই যুবক। ছুটে উত্তর কলকাতার ঘিঞ্জি গলিতে হারিয়ে যাওয়ার চেষ্টাতেও ত্রুটি রাখেননি। কিন্তু তাঁকে পাকড়াও করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী বা পুলিশের ওপর ভরসা না রেখে নিজেই পিছু ধাওয়া করেন বাবুল। সরু গলির কয়েকটা বাঁকের পর অবশেষে পাকড়াও। তারপর গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে। ঠিক কী হয়েছিল এদিন? বিকেলে বাবা-মাকে নিয়ে ভোট দিতে আসেন বাবুল। ভোট দিয়ে বার হওয়ার সময় এক তৃণমূল এজেন্টের সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে। তিনি কে তার পরিচয়পত্রও ওই এজেন্টকে দেখান বাবুল। এরমধ্যেই কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তাঁকে ঘিরে ফেলেছেন সুরক্ষাকর্মীরা। সেইপর্ব মিটতে না মিটতেই এক যুবককে দেখা যায় বাবুল সুপ্রিয়কে আঙুল উঁচিয়ে শাসাতে। অভিযোগ এই সময়েই তাঁর মুখে মদের গন্ধ পান বাবুল। এদিনের ঘটনার জন্য তৃণমূলের দিকেই আঙুল তুলেছেন আসানসোলের সাংসদ। অবস্থা শান্ত হলে নরেন্দ্র মোদীর সভায় যোগ দিতে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন বাবুল সুপ্রিয়।