শ্রীগঙ্গানগরে পারদ পৌঁছল ৪৯.৪ ডিগ্রিতে, আবহাওয়া দফতর দিল স্বস্তির বার্তা
প্রায় ৫০ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলল শ্রীগঙ্গানগরের পারদ। কার্যত পুড়ছে গোটা এলাকা। একই অবস্থা বিস্তীর্ণ এলাকায়। তবে এরমধ্যেই স্বস্তির বার্তা শোনাল আবহাওয়া দফতর।

১৯৩৪ সালে শেষবার এখানে ৫০ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল পারদ। তারপর এই ২০২৫ সালে পৌঁছে ফের পারদ পৌঁছল সেই ৫০-এর কাছে। শুক্রবার ৪৯.৪ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছে পারদ। জ্বলছে গোটা শহর। শুধু এখানেই নয়, অধিকাংশ জায়গাই আশপাশে জ্বলছে।
মানুষকে ঘরেই থাকার পরামর্শ দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। তবে তার সঙ্গেই এবার স্বস্তির বার্তাও দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বর্ষা ঢোকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। কোথাও কোথাও শুক্রবার বিকেলের পর ঝড়বৃষ্টিও হয়েছে।
মরুরাজ্য গত কয়েকদিন ধরেই আগুনের মত জ্বলছে। চুরুতে ৪৭.৬ ডিগ্রি, জয়সলমীরে ৪৬.৯ ডিগ্রি, বিকানের ৪৬.৪ ডিগ্রি, যোধপুর ৪৬.৩ ডিগ্রি, বারমের ৪৬.২ ডিগ্রিতে পুড়ছে। শনিবার থেকে অবশ্য পরিস্থিতি বদলাবে বলেই পূর্বাভাস।
রাজস্থানের পাশাপাশি গোটা উত্তর ভারত জুড়েই তাপপ্রবাহ চলছে গত ১ সপ্তাহ ধরে। দিল্লি ৪৪ ডিগ্রিতে জ্বলছে। তবে সেখানেও টানা তাপপ্রবাহ সহ্য করার পর বাসিন্দারা ঝড়বৃষ্টি পেতে পারেন।
উত্তর ভারত জুড়েই ৪৪ থেকে ৪৫ ডিগ্রির ঘরে ঘোরাফেরা করেছে বহু জায়গার পারদ। আর তা চলছে একটানা। মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় দিল্লি সহ উত্তর ভারত জুড়েই বর্ষার আগমনবার্তা সুস্পষ্ট বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
অনেক জায়গাতেই বৃষ্টি হবে শনিবারের পর থেকে। ফলে সেখানে বর্ষা পুরোদমে শুরু হয়ে গেলে পারদ নেমে ৪০ বা ৪১ ডিগ্রিতে এসে ঠেকবে। পরে তা আরও নামবে। অনেকেই মনে করছেন বর্ষার প্রবেশের অপেক্ষা। তারপর এ বছরের মত আর তাপপ্রবাহের জ্বলুনি সহ্য করতে হবেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা