ফাইল : দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলে তুষারপাত, ছবি - আইএএনএস
গোটা মহাদেশ এখন ঠান্ডায় কাঁপছে। অনেক দেশই সাদা বরফের চাদরে ঢাকা। জনজীবন এর মধ্যেই যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছে। তুষারপাত হচ্ছে অনেক জায়গায়। পুরু বরফের তলায় হারিয়ে যাচ্ছে সব কিছু। এমন ঠান্ডা ও তুষারপাতের সঙ্গে ইউরোপের অধিকাংশ দেশের মানুষ অভ্যস্ত। কারণ তাঁরা প্রতিবছরই এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েন।
তাই তার সঙ্গে লড়াই করে জীবনকে স্বাভাবিক রাখার কৌশল তাঁরা আগেই রপ্ত করে নিয়েছেন। কিন্তু এবার চিন্তা বাড়াচ্ছে ফ্রিজিং রেন।
যার জন্য রীতিমত সতর্কতা জারি করতে হয়েছে প্রশাসনকে। অনেক দেশে হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ, জার্মানি সহ বিভিন্ন দেশ।
কি এই ফ্রিজিং রেন? চারিদিক তুষারপাতে ঢাকা পড়েছে। কনকন করছে ঠান্ডা। হিমাঙ্কের অনেক নিচে পারদ। এই অবস্থাতেও অনেক সময় বৃষ্টি হয়। জলেরই ফোঁটা নেমে আসে আকাশ থেকে। কোনও বরফের কুচি নয়।
এদিকে বরফ তো হওয়ার কথা। বৃষ্টির জলের বিন্দু থাকার তো কথা নয়। কিন্তু থাকে। সেই জল মাটি থেকে কিছুটা উপরেই হিমাঙ্কের নিচের আবহাওয়ার সংস্পর্শ আসে। কিন্তু তখনও জলের ফোঁটাই থাকে।
সেই জলের ফোঁটা কিন্তু যেই কোনও জায়গায় এসে পড়ে, তখন কিন্তু তা দ্রুত বরফ হয়ে যায়। এই কোনও কিছুর ওপর পড়ার পর বরফ হয়ে যাওয়াই হল ফ্রিজিং রেনের বিশেষত্ব।
যার সবচেয়ে খারাপ দিক হল ফ্রিজিং রেন যেখানে হয় সেখানে রাস্তাঘাট অতি পিচ্ছিল হয়ে যায়। যার ওপর দিয়ে চলাচল বা যানবাহন যাতায়াত অত্যন্ত আতঙ্কের হয়ে যায়। তুষারপাতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন ইউরোপের অনেক দেশে ফ্রিজিং রেন নতুন বিপদ ডেকে এনেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা