SciTech

দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের সঙ্গে খরার আশঙ্কা, নতুন মডেলে প্রশ্নের মুখে বর্ষাও

দেশের একটা বড় অংশ জুড়েই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি রয়েছে। এবার এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে খরার সম্ভাবনাও প্রবল হল। প্রশ্ন উঠছে এবারের বৃষ্টি নিয়েও।

ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন বা ডব্লিউএমও ইতিমধ্যেই জানিয়েছে বিশ্বজুড়েই এবার তাপপ্রবাহের মাত্রা বাড়তে পারে। এজন্য তারা এল নিনো-র প্রভাবকেই সামনে রেখেছে। যার প্রভাবে বিশ্বজুড়ে দেড় ডিগ্রি পর্যন্ত পারদ চড়তে পারে।

এল নিনো-র প্রভাবে বিশ্বজুড়ে যে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে তার থেকে বাদ যাবেনা ভারতও। ভারতে ইতিমধ্যেই তাপপ্রবাহ টের পাচ্ছেন অনেক জায়গার মানুষ। পশ্চিমবঙ্গে তো এমন তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি পরিচিতই নয় মানুষের কাছে। এবার সেই তাপপ্রবাহের সঙ্গে যুঝতে হচ্ছে তাঁদের।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

এবার সেই তাপপ্রবাহের দোসর হতে পারে খরা পরিস্থিতি। এমনই আশঙ্কা করছে ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন।

শুধু ভারত বলেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে খরা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে থাকতে পারে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলি।

ভারতের আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যেই চলতি বছরে স্বাভাবিক বর্ষার পূর্বাভাস দিয়েছে। যা হাসি ফুটিয়েছে কৃষকদের মুখে। কিন্তু তা নিয়েও এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এল নিনো-র প্রভাবে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রভাবিত হতে পারে বলে মনে করছে সাম্প্রতিক জলবায়ু মডেল। সেক্ষেত্রে বৃষ্টির ঘাটতিও হতে পারে। ভারত বর্ষার স্বাভাবিক বৃষ্টি থেকে বঞ্চিত হতে পারে।

বর্ষার দ্বিতীয় ভাগে সেই প্রভাব পরিলক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এদিকে যখন কম বৃষ্টি বা খরার কথা বলা হচ্ছে ভারতে সেখানে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় আবার অতি বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল বলেও জানানো হয়েছে। সেখানে আবার বন্যা চরম আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা। যা মানুষের পাশাপাশি প্রবাল প্রাচীরগুলির ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *