গ্রীষ্ম আসার আগে গরম নয় সামনের ৬ দিন নিয়ে চিন্তায় কাটাচ্ছেন আবহবিদেরা
গ্রীষ্ম দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। প্রবল গরমের জন্য মানুষ মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া শুরুও করেছেন। কিন্তু সেসব এখন আবহবিদদের চিন্তা নয়। বরং তাঁদের চিন্তা বৃষ্টি।
![Lightning](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2023/03/lightning-780x470.jpg)
গ্রীষ্ম আসছে। অনেক জায়গায় গরম মাথায় চড়ে নাচতে শুরু করেছে। দুপুরের দিকে শহর কলকাতাতেও বেশিক্ষণ টানা রোদে থাকা যাচ্ছেনা। তবে এখন আবহবিদরা কিন্তু গরমের পদধ্বনি নিয়ে চিন্তিত নন। তাঁরা চিন্তিত বৃষ্টি নিয়ে।
প্রবল ঝড়বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি নিয়ে। যা আছড়ে পড়তে চলেছে দক্ষিণ, পূর্ব এবং মধ্য ভারতজুড়ে। জোড়া ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতির প্রকোপ বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সাইক্লোনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তারসঙ্গে হাত মিলিয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। যা হিমালয়ের কোল ঘেঁষে ক্রমশ এগিয়ে আসছে।
একদিকে সাইক্লোন এবং অন্যদিকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, এর জোড়া প্রভাবে মার্চের ১৩ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত বজ্র বিদ্যুৎ সহ প্রবল ঝড়বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি-র সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে দক্ষিণ, পূর্ব এবং মধ্য ভারতজুড়ে। আর তা হওয়া মানেই মাথায় হাত। কারণ এই অকাল বৃষ্টি কার্যত মাঠে পেকে ওঠা ফসলের জন্য অশনিসংকেত।
বেশি ঝড়বৃষ্টি হলে মাঠের ফসল মাঠেই নেতিয়ে শুয়ে পড়বে। যা পরে রোদ উঠলেও আর ঠিক হওয়ার নয়। এতে প্রবল ক্ষতির মুখে পড়বেন কৃষকরা। আর ফসলও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যা আখেরে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির কারণ হবে।
বাজারে জিনিসের দাম বাড়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়ার নয়। প্রসঙ্গত গত ৬ থেকে ৮ মার্চের মধ্যে প্রবল ঝড়বৃষ্টির মুখে পড়েছে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট এবং রাজস্থান।
যার ফলে সেখানে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এবার সামনের ৬ দিন দেশের অন্য অংশে কি পরিস্থিতির জন্ম দেয় সেদিকেই চেয়ে আছেন আবহবিদেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা