SciTech

আগামী ১০ বছরে গলে যাবে বিপুল সংখ্যক হিমবাহ

এসব হিমবাহের গলন শুরু হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। তবে তা হচ্ছিল মন্থর গতিতে। এবার তার গলন প্রতি বছরে অনেকটা বেড়ে গেছে। যা কার্যত বিপদসংকেত।

বিশ্বের জন্য বিপদসংকেত দিলেন গবেষকেরা। গবেষকেরা জানাচ্ছেন বিশ্ব উষ্ণায়ন ও পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে হিমালয় ও আন্দিজের মধ্যবর্তী যাবতীয় ক্রান্তীয় হিমবাহ গলে যাবে আগামী ১০ বছরে।


যদিও এসব হিমবাহের গলন শুরু হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। তবে তা হচ্ছিল মন্থর গতিতে। এবার এল নিনো-র প্রভাবে তার গলন প্রতি বছরে অনেকটা বেড়ে গেছে। যা কার্যত বিপদসংকেত। গবেষকেরা হিসাব করে দেখেছেন আগামী ১০ বছরের মধ্যে এই সব ক্রান্তীয় হিমবাহ গলে জল হয়ে যাবে।

হিমবাহের গলন জলস্ফীতির এক বড় কারণ হতে চলেছে বিশ্বে। একথা আগেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেভাবে ক্রান্তীয় হিমবাহের গলন দ্রুত বেড়ে গেল এবং তা এখন যে গতিতে গলছে তাতে মনে হচ্ছে যেন একজন ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সামনে দাঁড়িয়ে আছেন।



তাঁর শারীরিক অবনতি প্রতিদিন দেখছেন। কিন্তু সারানোর উপায় নেই। ফলে কেবল দেখা ছাড়া করার কিছুই নেই। হিমবাহের এই গলনও রোখার মত কোনও বিজ্ঞান এখনও বিজ্ঞানীদের হাতে নেই। ফলে তাঁরাও দেখছেন।

দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনি-র যে সব হিমবাহ রয়েছে তা গলছে সবচেয়ে বেশি গতিতে। প্রথমে এগুলি শেষ হবে। তারপর ইন্দোনেশিয়ার হিমবাহগুলি শেষ হবে। এরপর কিলিমাঞ্জারোর হিমবাহ ও তারপর পেরুর কুয়েলকায়া-র হিমবাহ গলে বিলীন হয়ে যাবে।

এদিকে হিমবাহ যত গলবে ততই সমুদ্রের জল বাড়বে। সমুদ্রে গরম জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। যা ঘন ঘন ঝড়ের জন্ম দেবে। এল নিনো-র প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় সমুদ্রের জল গরম হওয়া ও সেখানকার দ্বীপগুলিরও ওপরও উষ্ণতার প্রভাব হিমবাহগুলিকে গলিয়ে দিচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button