Kolkata

জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জের, দুপুরেই বানভাসি কলকাতা

বিজয়াদশমীর সন্ধেয় বৃষ্টি। তারপর একাদশীর ভোর থেকেই বৃষ্টি। কোথাও ঝেঁপে বৃষ্টি এসেছে তো কোথাও কম। বৃষ্টি নেমেছেও বিভিন্ন সময়ে। একাদশীর দিন হওয়ায় শহর কলকাতা জুড়েই একটা ক্লান্তির ছাপ এদিন স্পষ্ট ছিল। এটাই চিরাচরিত দৃশ্য। এবার আবার তার সঙ্গে বৃষ্টি জুড়ে ক্লান্তিটা যেন একটু বাড়িয়েই দিয়েছে। এদিন আবার দুপুর থেকে যে বৃষ্টি শুরু হয় তা টানা চলতে থাকে। আকাশ কালো করে মেঘ জমে। যা দেখেই স্পষ্ট ছিল বৃষ্টির চেহারাটা কেমন হতে চলেছে। হয়ও তাই। প্রবল বৃষ্টিতে গোটা কলকাতা ও শহরতলী এদিন ক্রমশ বানভাসি চেহারা নেয়।

যে বৃষ্টি দুপুরে শুরু হয়েছিল তা বিকেলেও বজায় ছিল। ফলে বৃষ্টি পড়তেই থেকেছে। কখনও কম, কখনও বেশি। কিন্তু বৃষ্টি থামেনি। ফলে শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ জলের তলায় চলে যায় অনেক রাস্তা। বিবাদীবাগ এলাকা জলের তলায় চলে যায়। ধর্মতলা চত্বরের একটা বড় অংশ জলের তলায় চলে যায়। একাদশী হওয়ায় রাস্তায় যানবাহন একটু কম ছিল। ফলে প্রবল যানজট হয়নি। তবে যানবাহনের গতি ছিল খুবই ধীর। জলের তলায় হারিয়ে যাওয়া রাস্তা ধরে গাড়ি এগিয়েছে সন্তর্পণে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের ওপর একটি জোড়া ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। তার জেরেই এই বৃষ্টি। বৃষ্টি কলকাতা ছাড়াও হয়েছে আশপাশের জেলাগুলিতে। প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। ফলে অনেক রাস্তায় জল জমে মানুষের সমস্যার কারণ হয়। কলকাতার চেনা জলছবি এদিন ধরা পড়েছে। ঠনঠনিয়া, আমহার্স্ট স্ট্রিট, এলাকা জলের তলায় চলে যায়। বৃষ্টি ২ ঘণ্টা চলার পরও মেঘ কাটেনি। বরং কালো মুখ করে আকাশ ছেয়ে রাখে জলভরা মেঘ। এদিন একাদশী হওয়ায় অনেক বারোয়ারির ভাসান রয়েছে। ভাসান সন্ধেয় থাকলেও তার প্রস্তুতি শুরু হয় দুপুরেই। লরি সাজানো। ব্যান্ড বা তাসার প্রস্তুতি। শোভাযাত্রার আলোর সজ্জা। কিন্তু সেসব কিছুই এদিন দুপুরে করে উঠতে পারেননি উদ্যোক্তারা। প্রবল বৃষ্টি তাঁদের মাথায়ও হাত ফেলে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *