Kolkata

পতন অব্যাহত, কলকাতা আজ ১০.৫°

মরসুমের শীতলতম দিন সোমবার। খাতায় কলমে সঠিক। তাই লেখা। কিন্তু এ রেকর্ডের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ গত সপ্তাহের শুরু থেকে সেই যে প্রতিদিনই কলকাতা মরসুমের শীতলতম দিন হওয়া শুরু করেছে, তা এই সোমবারও অব্যাহত। মোদ্দাকথা পারদ পতন অব্যাহত। গত রবিবারই শেষ ৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে কলকাতা ঢুকে পড়েছিল ১০°-র কোটায়। গত ৫ বছরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১°-তে নামলেও ১০-এর ঘরে ঢোকা আর হয়ে ওঠেনি। এবার হল। শুধু হলই নয়, এবার যা প্রবণতা তাতে বিগত অনেক বছরের রেকর্ড ভাঙা ঠান্ডা পড়লেও অবাক হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করছেন আবহবিদদের একাংশ। ফলে সারাদিনই গায়ে গরম পোশাক থাকছে শহরবাসীর। বেলায় শীতের অনুভূতি সামান্য কমলেও বিকেল গড়াতেই তা ফের কাবু করছে গোটা শরীর। হাত, পা, নাক, কানের অনুভূতিও মাঝেসাঝে লোপ পাচ্ছে। তা হোক। তবু দিনগুলো বেজায় উপভোগ করছেন শহরবাসী। এই কটা দিনের ঠান্ডা নিয়ে কোনও কুকথা বলতে বা শুনতে তাঁরা রাজি নন। সোমবার কলকাতার তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ডিগ্রি কম।

একইভাবে পারদ পড়ছে জেলাগুলিতেও। উত্তর থেকে দক্ষিণ, হাড়হিম করা ঠান্ডায় ঠকঠক করে কাঁপছেন মানুষজন। সাধারণ ধারণা উত্তরের জেলাগুলোতে ঠান্ডা দক্ষিণের তুলনায় বেশি পড়ে। কিন্তু এবার দক্ষিণ জুড়ে ঠান্ডা যে ব্যাটিং দেখাচ্ছে তাতে উত্তরও মার খাওয়ার জোগাড় হয়েছে। পুরুলিয়া থেকে পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম থেকে বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, সর্বত্রই পারদ ঘুরে বেড়াচ্ছে ৫ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে। এখনও এই ঠান্ডা কয়েকদিন বজায় থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *