![Vivekananda Flyover](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2016/03/vivekananda-flyover.jpg)
নির্মীয়মাণ বিবেকানন্দ উড়ালপুল ভেঙে মৃত্যু হল কয়েকজনের। বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে যান। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা ঘটনার ২০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। পৌঁছন পুলিশ কর্মীরা। এদিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ব্রিজের ১৫০ মিটার লম্বা অংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। প্রচণ্ড আওয়াজে চমকে ওঠেন আশপাশের বাড়ির লোকজন। চারদিক ধুলোর ধোঁয়ায় ভরে যায়। ধংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে যান বহু মানুষ। চাপা পড়ে যায় ব্রিজের তলা দিয়ে যাতায়াত করা গাড়িগুলিও। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরাই শুরুতে উদ্ধারকাজের চেষ্টা চালান। কিন্তু বিশালাকায় কংক্রিটের স্ল্যাব ও টন টন ওজনের লোহার বিমের তলা থেকে মানুষজনকে বার করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। পরে বিপর্যয় মোকাবিলা টিম উদ্ধারকাজে হাত লাগান। সকলের চেষ্টায় বেশ কয়েকজনকে মৃত ও আহত অবস্থায় ধংসস্তূপের তলা থেকে বার করে আনা হয়। আহতদের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কয়েকজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। বেলা যত গড়িয়েছে ততই মেডিক্যালে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স এসে পৌঁছেছে। উদ্ধার হওয়া অনেককে মাড়ওয়াড়ি রিলিফ সোসাইটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে ধংসস্তূপের তলায় আটকে থাকা মানুষজনকে বার করতে বিম ও কংক্রিটের চাঙড় তোলার দরকার ছিল। কিন্তু ক্রেনে করে তা তুলতে গেলে ছিঁড়ে যায় ক্রেনের তার। ফলে চোখের সামনে অনেকের হাত, পা, দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় নড়তে দেখলেও উদ্ধারকারীদের অসহায়ের মত দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া উপায় ছিল না। ধংসস্তূপের তলায় হাত ঢুকিয়ে চাপা পড়া মানুষজনের কাছে জল পৌঁছে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালান স্থানীয় মানুষজন। পরে মেট্রো রেল সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। দুপুরে শক্তিশালী ৪০ টনের একটি ক্রেন হাওড়া ময়দান থেকে রওনা দেয়। উদ্ধারকার্যে সাহায্যের জন্য তলব করা হয় সেনাবাহিনীকে। বিবেকানন্দ উড়ালপুলের দুর্ঘটনায় এদিন শোক প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। শোক প্রকাশ করেছেন উপ-রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন মুখ্যামন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথাও বলেন। উদ্ধারকাজে সবরকম সাহায্যেরও প্রতিশ্রুইত দেন তিনি।